মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরি নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। গত এক সপ্তাহ ধরে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় নদীর দু’পাড়ের বেড়িবাঁধে ইতিমধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার জাফর আলম ছিদ্দিকি নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখলেও এব্যাপারে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় মাতামুহুরি নদীতে ড্রেজার মেশিন (বোম মেশিন) বসিয়ে রাতদিন সমানতালে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। উত্তোলনকৃত কয়েক লাখ ঘনফুট বালু স্তুপ করে রাখা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমিতে। যা পরবর্তীতে বিক্রি করা হচ্ছে চকরিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন জায়গায়। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চকরিয়ার কোনাখালী ও পেকুয়ার ছিরাদিয়া এলাকার বেড়িবাঁধে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পরিধি বাড়ছে গত বন্যায় বেড়িবাঁধে সৃষ্ট ভাঙ্গন সমূহে।
বালু উত্তোলনের বৈধতার বিষয়ের জানতে চাইলে জাফর আলম ছিদ্দিকি নিজেকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনে অনুমতি নেওয়ার কি আছে। বাড়ির একটি পুকুর ভরাট করতে সামান্য পরিমাণ বালু উত্তোলন করছি মাত্র। এই সামান্য পরিমাণ বালু যদি আমি উত্তোলন করতে না পারি, তবে পারবে কে?
এব্যাপারে কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার জানান, মাতামুহুরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জেনেছি। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বেআইনী। আমি এখনেই এসিল্যান্ডকে বিষয়টি অবহিত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানাচ্ছি।
You must be logged in to post a comment.