হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া :
সোমবার (৩০ জানুয়ারী) বেলা দুইটার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, তাদের অবস্থানসহ বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করা হয়। শেষে প্রতিনিধি দলটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও পরিস্থিতি জানতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তিগুলো পরিদর্শন করেন রাখাইন রাজ্য বিষয়ক পরামর্শ কমিশনের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
তারা উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন- মিয়ানমারের নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন ও লেবানিজের নাগরিক ঘাশান সালাম।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাকী বিল্লাহ, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, ইউএনএইচসিআর ও আইওএম’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩ সদেস্যের প্রতিনিধি দলটি রোববার (আনান কমিশন নামে সমধিক পরিচিত) প্রথমে উখিয়ার বালুখালীর গহীন পাহাড়ী এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তি এবং পরে টেকনাফের লেদা ও নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা বস্তিগুলো পরিদর্শন করেছেন। এসময় দলটির সদস্যরা গত বছরের অক্টোবর মাসে রাখাইন রাজ্যে সহিংস ঘটনার পর মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাদের খোঁজ-খবর নেন এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গারাও তাদের অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের কল্যাণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি গত বছর জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেন।
কফি আনান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মিয়ানমারের ছয় নাগরিক ও তিন বিদেশি বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত কমিশন এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুপারিশ জমা দেবে। রাখাইন রাজ্যের সব নাগরিকের মানবিক ও উন্নয়ন, নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপাদানগুলোকে নিয়ে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবে। কমিশন এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজারের বেশী শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
You must be logged in to post a comment.