কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের সাবেক এক যুবলীগ নেতার বসতবাড়ীতে রাতের অন্ধকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এ ঘটনায় ১৩ মার্চ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইউনিয়নের হাসিনা পাড়াস্থ বিদেশ প্রবাসী বিমল দে’র স্ত্রী স্বপ্না দে ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের হাসিনা পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ও সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বিমল কান্তি দে’র বসতবাড়ীতে ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কে বা কারা আগুন দেয়। আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে বিমলের বৃদ্ধ মাতা কুসুম বালা দে হঠাত্ ঘুম থেকে জেগে উঠে বাড়ীতে আগুন আগুন বলে চিত্কার শুরু করে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে দেয়। এতে করে বিমলের পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ বাড়ীর আংশিক পুড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজুর আলমের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।
অপরদিকে বেশ ক’জন এলাকাবাসীর মতে, বিমলের পরিবারের লোকজনের চিত্কার শোনে দৌড়ে এগিয়ে এসে দেখে তার পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বিমলের স্ত্রী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা স্বপ্না দে ও তার মা কুসুম বালা দে’র কাছে জানতে চাইলে তারা জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ের রেশ ধরে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অতিসত্ত্বর ঘটনার ন্যায্য বিচার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন।
মামলা সূত্র মতে, আসামীগণ অধীনের বসতভিটা ১নং আসামী ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে অধীন প্রত্যাহার করে, তারপর অধীনকে জোর পূর্বক ভিটা থেকে তাড়িয়ে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে। এমনকি অধীনকে গৃহ ছেড়ে চলে যেতে বলে। বিষয়টি অধীনরা প্রতিবেশী লোকজনকে জানায়।
এদিকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সঞ্জিত ধর (৩৮), মানিক মজুমদার (৩৫), রেনু মজুমদার, লিমা ধর, উজ্জ্বল ধর, সর্বসাং- হাসিনা পাহাড়, ভাদিতলা ঈদগাঁও। এদেরকে আসামী করে একটি সিআর মামলা দায়ের করে স্বপ্না দে।
You must be logged in to post a comment.