কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকা ভাদীতলা, দরগাহপাড়া, শিয়াপাড়া ও হাসিনাপাড়া। বর্তমানে ১৫/২০ হাজারের বেশী মানুষের বসবাস। এবার জনদূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠী।
প্রায় সাত বছর পূর্বে এই সড়কের ব্রীজটি ভেঙে যায়। স্থানীয়রা কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরী করে অস্থায়ী সাকো। ভেঙে যাওয়া স্থানে নেতু নির্মাণের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
বিপুল সংখ্যক কৃষি নির্ভর জনগণের চলাচলের মাধ্যম এই সড়কটি। কষ্ট ও দূর্ভোগ কাকে বলে তা বাস্তব সাক্ষী হিসেবে ছিল এটি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানিতে ভেঙ্গে যায় সাঁকোটি। এলাকাবাসী সংস্কার করলেও তা টিকেনা। ভেঙে বিলীন হয়ে যায় পানিতে। তবু ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পথচলা থেমে ছিলনা।
১৪ অক্টোবর বিকেলে নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এমন চিত্র চোখে পড়ে। ঢলের পানির সাথে ভেসে যাওয়া টেউ ব্রীজটির স্থানে নতুন রুপে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু দৃশ্য।
ঈদগাঁও ৭নং ওয়ার্ড আ,লীগের সাবেক সভাপতি মৌলভী মনজুর আলম জানিয়েছেন, দীর্ঘবছর পর নতুন করে সেতু নির্মাণে আমরা এলাকাবাসী আনন্দিত। ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমসহ সকলের প্রতি অভিবাদন।
ব্যবসায়ী বশর, পথচারী মোজাম্মেল হক জানান, স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করে জন ও যানচলাচল স্বাভাবিকসহ নানা ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হউক দ্রুত সময়ে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল কবির, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম জানান, দীর্ঘবছর কষ্ট পাওয়ার পর ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নুরুল আজিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
You must be logged in to post a comment.