এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের নব সৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার নানা পাড়া মহল্লায় এডিস মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিরোধে স্প্রে ছিটানো জরুরী।
ডেঙ্গু জ্বর ইদানীং একটি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগটি সাধারণ বিস্তৃতি লাভ করেছে। সারাদেশের ন্যায় ঈদগাঁওতেও এই মশা বেড়ে চলেছে। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধসহ এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যেতে পারে। তাছাড়া সভা-সেমিনার করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব।
এডিস মশার বংশবিস্তার রোধকল্পে এর উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন ও সময়ের গণদাবী। কক্সবাজারের ঈদগাঁওর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা জুড়ে এডিস মশা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বচ্ছ পরিস্কার পানিতে ডিম পাড়ে, বাড়ির আশপাশ ঝোপঝাড়, ফুল বা সবজির বাগান, ফুলের টব, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি, ফেলে দেওয়া কোল্ড ড্রিংকসের বোতল, পানির বোতল, ফ্রিজে জমে থাকা পানি এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান। আবার বেসিন কিংবা টয়লেটের কমোডে জমা পানি থেকেও এই মশা বিস্তার লাভ করতে পারে।
যেইসব কারণ এডিশ মশার বংশ বিস্তারের জন্য দায়ী সেই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এছাড়া এডিস মশার উৎপত্তি, বিস্তার, নির্মূল করণে গ্রামাঞ্চলে স্প্রে ছিটানো জোর দাবী জানিয়েছেন সামাজিক প্লাটফর্ম ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের নেতৃবৃন্দরা
বর্তমান সময়ে এডিস মশা প্রতিরোধ নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনসহ সম্মিলিত পদক্ষেপ সমস্যা সমাধানে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেতে পারে।
ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের এডমিন ও পল্লী চিকিৎসক রেহেনা নোমান কাজল জানান, এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে হলে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অতীত জরুরী। দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, যত্রতত্র স্থানে পানি জমিয়ে না রাখা। স্প্রে ছিটানো।
চট্টগ্রামের উপ পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: কামরুল আজাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশা থেকে বাঁচতে হলে অত্যান্ত সতর্কতা থাকতে হবে। জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরী।
You must be logged in to post a comment.