এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার টিএণ্ডটি অফিসটি বন্ধ হয়ে গেছে। সামনের পুকুরসহ পুরো ভাউন্ডারী এলাকা ময়লা আবর্জনায় ভরপুর হয়ে উঠেছে। দেখার যেন কেউ নেই। সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে এলাকার লোকজন ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে ।
দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সডকের হাই স্কুল গেইট সংলগ্ন জাগির পাড়া সড়কে ঈদগাঁও টিএণ্ডটি অফিস। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে গেছে উক্ত অফিসের কার্যক্রম। অযত্ন অবহেলায় টিএণ্ডটির গেইট, রাস্তা, বাউন্ডারীওয়াল ও টিএণ্ডটি পুকুর ,অফিসসহ সব কিছু ময়লা আবর্জনায় ছেয়ে গেছে। ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, হাসপাতালসহ সবকিছুরই ময়লা আবর্জনাও বর্জ্য এ টিএণ্ডটি পুকুর ও অফিসের বাউন্ডারীর ভিতরে ফেলা হচ্ছে।
এক সময়ের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগর মাধ্যম এই টিএণ্ডটি ল্যাণ্ডফোন। এ সড়কটি টিএণ্ডটি সড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল। এটি ঈদগাঁও বাজারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে বাজারগামী, স্থানীয় লোকজন ছাড়াও ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র যাতায়াতের সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজন ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
কজন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত সড়ক দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে বিকল্প সড়ক থাকলে আমরা অনেকটা স্বস্তি পেতাম। এক ব্যবসায়ীর মতে, বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা এই টিএণ্ডটি পুকুরে ফেলা হচ্ছে। যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য করতে সমস্যা হচ্ছে ও এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো জানান, এত বড় বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন জায়গা নেই এটা নিয়ে আমরাও সমস্যায় আছি। তবে আমরা বাজার পরিচালনা পরিষদ পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে আবেদন করেছি। সচেতন মহল পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
You must be logged in to post a comment.