কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকা ঈদগড়ের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ঈদগড় ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের ৬ এপ্রিল রাতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ঢালায় স্থানীয় চেযারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাহারা বসিয়ে ডাকাত প্রতিরোধের চেস্টা করা হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় সড়কটি অরক্ষিত থাকছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পথচারীদের আশংকা, যেকোন মুহুর্তে ঈদগড়ে বসতবাড়ী ও সড়কে ডাকাতি অপহরণসহ অন্যান্য অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে।
একসময় ঈদগড় ইউনিয়নে সড়ক ও বসত বাড়িতে গণহারে ডাকাতি অপহরণ হত। এমনকি ডাকাতদল দিনদুপুরে ঈদগড় বাজারে হানা দিয়ে লুটপাট চালিয়ে দোকানপাট জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ সদস্য সুষম চাকমা, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জনি, দিনমজুর মোঃ কালু, মাস্টার নুরুচ্ছফা ও ডাঃ মহিউদ্দীনসহ বহু অসহায় মানুষকে ডাকাতের হাতে জীবন দিতে হয়েছে।
ঈদগড়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের স্বার্থে সরকার তখন ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। সেই থেকে ডাকাতি অপহরণ কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে বিগত ৬ এপ্রিল রাতে পুলিশ ক্যাম্পটি প্রত্যহার করে নেওয়ায় সাধারণ লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মদ ভুট্টুর নেতৃত্বে এলাকাবাসী বিগত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত প্রতিদিন ডাকাত প্রতিরোধ ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ঢালায় পালাক্রমে পাহারা শুরু করেছে। চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মদ ভুট্টু ঈদগড় ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ক্যাম্প পুণরায় স্হাপনের দাবী করেছেন।
ঈদগড় ক্যাম্পে পুলিশ না থাকলে যেকোন মুহুর্তে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
You must be logged in to post a comment.