হামিদুল হক; ঈদগড়:
কক্সবাজার জেলার কৃষি প্রধান এলাকা ঈদগড়ের কৃষকরা পান চাষ করে কৃষি ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। পান চাষ করে এখানকার মানুষ মাত্র ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে নিজেদের প্রকৃত স্বাবলম্বি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। হত দরিদ্র শত শত মানুষ এখন নানা সমস্যা, বহুবিধ রোগ-বালাই আর প্রাকৃতিক প্রতিকুলতা শেষে মহাসুখে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদগড়ের হাসনাকাটা, বড়বিল, কাটা জঙ্গল, বউ ঘাট, চেংছড়ি, বড়ইর চর, ছগিরা কাটা, পানিস্যা ঘোনা, করলিয়া মুরা, চাইল্যাতলি ও কোদালিয়া কাটা এলাকায় ব্যাপক হারে পান চাষ হচ্ছে। পান চাষীদের ধারণা, এলাকার আবাদযোগ্য জমির এক তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়েই তৈরি করা হয়েছে পান বরজ। খড়-কুটো আর বাঁশ-বেতের মাধ্যমে পুরনো কায়দায় নির্মিত এসব পানের বরজ হঠাত্ দেখলে পথচারী কিংবা দর্শনার্থীদের তাক লেগে যায়। উত্পাদিত পান বিক্রির জন্য এলাকায় প্রতিদিন ছোট-বড় পানের হাট ও জমে উঠছে। আর এলাকার পান হাটে পান কিনতে আসেন বিভিন্ন এলাকার পাইকার ও মহাজনরা।
ঈদগড়ের হাসনাকাটা গ্রামের পানচাষী আবু শামা, বড়বিল গ্রামের মনজুর আলম, ছগিরা কাটার ছৈয়দ আলম ও করলিয়ামুরা এলাকার নুরুল হুদা জানান, বর্তমানে পান চাষ অধিক লাভজনক হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন রকম রোগ-বালাই ও প্রতিকূলতা কমে আসায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষ এখন অধিক লাভ ও সুবিধাজনক।
তারা আরো জানান, ১০ কাটা জমিতে পানের বরজ থাকলে ৩ সদস্যের একটি পরিবার সাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে। যা অন্য কোন ফসল চাষে সম্ভব হয় না। উল্লেখিত পান চাষীদের মত শত শত পান চাষী রোগ-বালাইয়ের কারণ উদঘাটন ও নিরসনের জন্য কারো কাছ থেকে কোন সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ পান না বলে জানান।
স্থানীয় উপ-কৃষি কর্মকর্তার নিকট পান চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঠিক কোন জরিপ না থাকলেও আবাদী ভূমির এখন অধিকাংশই পান চাষ হচ্ছে। এ এলাকার মানুষের কাছে পান চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
You must be logged in to post a comment.