টেকনাফে চান্দের গাড়ী চাপায় ৯ বছরের স্কুল ছাত্রী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

টেকনাফ উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে বছরের পর বছর ধরে চলছে নাম্বার বিহীন বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অনেক সড়ক দুর্ঘটনা। এই সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ হচ্ছে আহত, কেউ হচ্ছে নিহত। এর কারন এই গাড়ীগুলোর বেশির ভাগ চালক হচ্ছে অদক্ষ। এই অদক্ষ ড্রাইভারদের গাড়ীর চাপায় পড়ে মারা যাচ্ছে সাধারণ পথচারি মানুষ গুলো। আবার এই সমস্ত গাড়ীর ড্রাইভাররা হচ্ছে কম বয়সি পাশাপাশি এই ড্রাইভারদের নেই কোন দক্ষতা, নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই কোন রোড পারমিট। এইভাবে প্রতিনিয়ত টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলছে অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে নাম্বার বিহীন গাড়ীগুলো। এই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের লেঙ্গুর বিল সড়কে একটি নাম্বার বিহীন দ্রুতগামী চান্দেরগাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয় তৃতীয় শ্রেনীর তসলিমা নামে ৯ বছরের এক স্কুল ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লেঙ্গুরবিল সড়ক দিয়ে আসা দ্রুতগামী এক চান্দেরগাড়ি চাপায় পড়ে মেয়েটি নিহত হয়। সে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের মেয়ে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তসলিমা বেগম (৯)। সে টেকনাফ বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

নিহত স্কুল ছাত্রীর পিতা জাফর আলম জানান, স্কুলে যাওয়ার জন্য রিকসা দিয়ে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেয়। প্রধান সড়কে এলে হঠাৎ করে লেঙ্গুরবিল সড়ক দিয়ে আসা দ্রুতগামী নাম্বার বিহীন একটি চান্দেরগাড়ী রিকসায় ধাক্কা দিলে তসলিমা রিকশা হতে পড়ে যায় এর পর গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলে মারা যায়। এর পর কৌশলে ঘাতক ড্রাইভার পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে টেকনাফের সুশীল সমাজের কজন অভিমত প্রকাশ করে বলেন, যে গাড়ীর কোন নাম্বার নেই, এই গাড়ীগুলো কিভাবে বছরের পর বছর সড়কে চলাচল করছে, তার পাশাপাশি টেকনাফের বেশিভাগ গাড়ীর চালক হচ্ছে অদক্ষ ও কম বয়সি। এই সমস্ত গাড়ী ও চালকদের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে মানুষের প্রাণহানী। তাই আমাদের দাবি নাম্বার বিহীন গাড়ী সহ অদক্ষ ও কম বয়সি চালকদেরকে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসলে টেকনাফের সড়ক গুলোতে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ বছরের স্কুল ছাত্রী তসলিমার লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওসি আবদুল মজিদ আরো জানান, নাম্বার বিহীন চান্দেরগাড়িটি জব্ধ করা হয়েছে। ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহত তসলিমার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মামলা রুজু করা হবে।