একটি টেবিলের উপর সাদা রংয়ের পরিপাটি পোশাকে বসে রয়েছেন তিনি। অবাক নয়নে কিছু একটা দেখছেন। কিন্তু এই কিশোর আজ জনপ্রিয় এক নায়ক। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চিনতে পারছেন? পাঠক আপনাদের জন্য আরেকটু সূত্র দিই-তাঁর তিন চাচাতো বোন বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
এখনও যদি দ্বিধায় থাকেন-তবে এবার বলেই দিই এটি জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজের কিশোর বয়সের একটি ছবি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি শেয়ার করেছেন একজন। এরপর খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি চিত্রনায়ক রিয়াজেরই ছবি।
রিয়াজ ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন যা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং একইসঙ্গে রিয়াজকে জনসাধারণের মাঝে জনপ্রিয় হন।
তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের ‘ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট’ নামে একটি ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করে। রিয়াজ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন নায়িকার সাথে জুটি বেঁধে দীর্ঘদিন একসাথে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো শাবনূর ও পূর্ণিমা।
রিয়াজ ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর ২০০৪-এর বিনোদন বিচিত্রার ফটো সুন্দরী বিজয়ী মডেল মুশফিকা তিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের প্রায় আট বছর পর ২০১৫ সালের ১ জুন তিনি কন্যা সন্তানের পিতা হন। রিয়াজের নিজ পরিবারের কেউ অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও তাঁর তিন চাচাতো বোন কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, ফরিদা আক্তার ববিতা ও গুলশান আরা চম্পা বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
সূত্র:মিঠু হালদার/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.