ঢাকার ৩টি ফ্ল্যাট, ব্যাংকের টাকা, হিমাগার এবং হাসপাতালসহ নিজ নামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিকে ট্রাস্টের আওতা নিয়ে এসেছিলেন এইচ এম এরশাদ। এসব সম্পত্তির একমাত্র ভোগ দখলকারী করে যান সন্তান এরিককে। তবে এরিক শুধু সম্পত্তি ভোগই করতে পারবেন। কিন্তু বিক্রি করতে পারবে না এক কানাকড়িও। এমনকি এরিকের কোন উত্তরাধিকার না থাকলে পুরো সম্পত্তি চলে যাবে সরকারের দখলে।
রাজধানীর দূতাবাস রোডের প্রেসিডেন্ট পার্ক। ডেভেলপারকে দিয়ে বানানো বাড়িটি থেকে ৪টি ইউনিট পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরমধ্যে বিক্রি করে দেন দুটি।
৫ম তলার বাকি দুই ইউনিটকে এক করে ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটে সন্তান এরিককে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। এছাড়া, বনানী ও গুলশানে আরো দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে এরশাদের। এর বাইরে ব্যাংকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার ফিক্স ডিপোজিট।
রংপুরের দর্শনায় ৪৮ শতক জমির ওপর অবস্থিত পল্লী নিবাস। পুরানো বাড়িটি ভেঙ্গে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক ভবন।
মিঠাপুকুরে বিশাল জায়গাজুড়ে পল্লীবন্ধু কোল্ড স্টোরেজ। একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ বস্তা আলু এই হিমাগারে মজুদ করা যায়। এটি ছিল এরশাদের নগদ আয়ের অন্যতম উৎস। তবে পিতা মকবুল হোসেনের নামে হাসপাতালটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বলেই পরিচালিত।
মৃত্যুর আগে এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিকে ট্রাস্টের আওতায় এনে একমাত্র ভোগ দখলকারী করে যান সন্তান এরিককে। তবে ট্রাস্টের উইল অনুযায়ী, এসব সম্পত্তি অন্য কারো নামে দিয়ে দেয়া কিংবা বিক্রি করতে পারবে না এরিক।
এর বাইরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এবং রংপুর কার্যালয় লিখে দিয়েছেন দলের নামে। স্ত্রী রওশন এরশাদ, ভাই জিএম কাদের, অন্যান্য আত্মীয় ও পালিত সন্তানদের ফ্ল্যাট-বাড়ি এবং জমি কিনে দিয়েছিলেন অনেক আগেই।
তবে ভাগ-বাটোয়ারার বাইরে রয়ে গেছে ভারতের কুচবিহারে ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে থাকা পৈতৃক সম্পত্তি।
সূত্র: somoynews.tv-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.