অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ :
গভীর রাত। চারদিকে নিরবতা। কেউ জুবুথবু হয়ে পোহাচ্ছে আগুন। শীতের সঙ্গে লড়াই শেষে এলো সকাল। কুয়াশার চাদরে মোড়া চারদিক। সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। শরীরে গরম কাপড় মুড়ে অনেকটা আটশাট হয়ে কর্মস্থলে ছুটছে কেউ কেউ। এমন চিত্রই প্রমাণ করে কক্সবাজারে জেঁকে বসেছে শীত। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে চলাফেরা ও কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত। এরপরেও তীব্র ঠাণ্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, কক্সবাজারে আরো দু’একদিন ঘন কুয়াশা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সাথে জেলার পাহাড়ী অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ৮ ডিগ্রীর নিচে।
পৌষের শীতল সকাল। হঠাত্ করেই শীতের প্রকোপ। চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, টেকনাফ, কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন এলাকা ঢেকে দিয়েছে পৌষের কুয়াশা। শীতের সকালের হঠাত্ এই কুয়াশা খেটে খাওয়া মানুষের কাছে কষ্টের হলেও কেউ কেউ বলছেন ভিন্ন কথা।
হঠাত্ এই ঘন কুয়াশার জন্য দায়ী সাইবেরিয়া থেকে আসা বাতাস উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিস বলছে কক্সবাজার জেলার কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৮ ডিগ্রীর নিচে।
এছাড়াও এ বছর শীতের তীব্রতা অন্যান্য বছরের চেয়েও একটু কম হলেও তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এদিকে জেলার ৮টি উপজেলায় কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাজ করতে না পেরে বিপাকে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
You must be logged in to post a comment.