সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ৫ শ’ শয্যায় উন্নীত করা হবে : স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ৫ শ’ শয্যায় উন্নীত করা হবে : স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

স্থানীয় জনসাধারণ, পর্যটন ও রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। একই সাথে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আইসিও, সিসিও, এইচডিও সহ সকল আনুষঙ্গিক সুবিধা স্থাপন করা হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠি, দেশী-বিদেশী পর্যটক, রোহিঙ্গা শরণার্থী, সরকারের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্প সহ আরো বিভিন্ন কারণে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালকে ৫০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও আধুনিকায়নের কাজ খুব শিঘ্রী শুরু হবে এবং আগামী দু’বছরের মধ্যে একাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া বর্তমান ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অন্যান্য রোগীর চাপের কথা বিবেচনায় রেখে পদ বাড়ানো ও সৃজিত পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার ২৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। শুধু সার্টিফিকেট অর্জন বড় কথা নয়, কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও মানবিক ও মহৎ গুণাবলী নিয়ে কাজ করলেই একজন চিকিৎসক প্রকৃত মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন উল্লেখ করে চিকিৎসকদের উদ্দ্যেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি স্তরে সমস্যা আছে।

সীমিত সম্পদ দিয়ে সব সমস্যার রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে সমস্য সমুহ পরিকল্পিতভাবে একটি সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব। সমস্যা কাজের গতি কমিয়ে দেয়। কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর ও দর্শনীয় স্থান উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে প্রতি বছর লাখ লাখ দেশী বিদেশী পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। কক্সবাজার থেকে পর্যটন খাত সহ আরো বিভিন্ন খাত হতে সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় করে জাতীয় কোষাগারে যোগান দিচ্ছে। তাই পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুবিধার বিষয়ও আমাদের সুনজরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলে পর্যটকরা কক্সবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হবেনা। তাই স্থানীয় জনগোষ্ঠী, আশ্রিতা রোহিঙ্গা এবং বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ উন্নত করার পাশাপাশি কক্সবাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমুহের শয্যা সংখ্যাও প্রয়োজন অনুযায়ী আরো বাড়ানো হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীর কারণে কক্সবাজার জেলায় স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। চাপ বেড়েছে হাসপাতাল গুলোতে। চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে। যার প্রমাণ হচ্ছে-ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে বিশ্বমানের আধুনিক জরুরী বিভাগ চালু করা হয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালিক আরো বলেন, আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ও জনবল দিচ্ছি। কিন্তু সেবা তো আপনাদেরকেই দিতে হবে। আপনারা যদি সেবা দিতে কোন গাফিলতি ও অনাগ্রহ দেখান, বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনা করেন, সেবাপ্রার্থী ও তাদের স্বজনদের সাথে দুর্ব্যহার করেন, তবে জনগণ তাদের ন্যায্য সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এবং চরমভাবে ক্ষুন্ন হবে সরকারের ভাবমূর্তি। সাধারণ মানুষ সরকারের সমালোচনা করবে। তাই সকলকে যথা সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত থেকে পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রী অনুরোধ জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক আরো বলেন, কিডনি ডাইলোসিস আমাদের দেশের জন্য একটি প্রকট সমস্যা। এটি সমাধানে সরকার প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি ডাইলোসিসের জন্য ১০টি করে ইউনিট প্রতিষ্ঠা করবে।

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার-৩ (সদর রামু) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সায়মুম সরওয়ার কমল, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা) ডা. মহিউদ্দিন ওসমানী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন আবদুল মতিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সুভাষ চন্দ্র সাহা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন, বিএমএ কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহিন আবদুর রহমান ও ডাঃ নোবেল কুমার বড়ুয়া, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম, এইচইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মোর্শেদুল আলম, কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী রফিকুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র#https://coxview.com/sarai-hospital-rafiq-14-11-23/

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

বান্দরবানের লামার ‘সরই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’। মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম পার্বত্য ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/