এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
নোভেল করোনা ভাইরাস আতংকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে এবার হ্যান্ডশেফের পরিবর্তে মুখের সালামের জনপ্রিয়তা বৃদ্বি পাচ্ছে। সে সাথে বেশ সংখ্যক লোকজন সচেতনতার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাবস পরতে চোখে পড়ছে।
ঈদগাঁও বাজারসহ স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষদের মাঝে এমনটি দেখা যায়। এদিন বিকেলে ঈদগাঁও স্টেশনে পবিস ঈদগাঁও জোনাল অফিসের এজিএমের সাথে এক যুবকের দেখা হলে প্রথমে হ্যান্ডশেক করতে চাইলেই কিন্তু এজিএম হাত বাড়াননি। বলে মুখে সালাম দেওয়ার এখন সময়।
অন্যদিকে বাজার ডিসি সড়কস্থ এক ভেটেনারীর দোকানে “করোনা ভাইরাসের কারণে হ্যান্ডশেক করা নিষেধ” এ ঘোষণা দিয়ে সচেতন করে দেন ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদেরকে। করোনা ভাইরাস যেন এক নয়া আতঙ্কের নাম! দেশের সব জায়গায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কখন-কিভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এই আশঙ্কায় রয়েছেন গ্রামীণ জনপদের মানুষরাও। তাই বেড়েছে উদ্বেগ, বেড়েছে পরিবারগুলোতে দুশ্চিন্তা। জনসাধারণকে আত্মবিশ্বাসী ও সচেতন করে তুলতে হবে। কারণ এই ভাইরাসের মোকাবেলায় প্রয়োজন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। এ ভাইরাস থেকে নিজেকেও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ভাইরাসটি সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক।
বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লার লোকজন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন কম। অনেকে ঘরবাড়ীর আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। কেননা ব্যস্তবহুল এলাকা কিংবা শহর কেন্দ্রীক করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত থাকলেও সেই তুলনায় বৃহত্তর এলাকার পাড়া মহল্লার লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হোক। গ্রামীণ জনপদের লোকজন জানান,পাড়া মহল্লার নারী পুরুষ বা ছেলে-মেয়েদেরকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা অতীব জরুরী।
You must be logged in to post a comment.