এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরাঘাট- খুরুশকুলের নির্মিত নতুন সেতুটি খুললো। এতে আরেক বিনোদন কেন্দ্রের দ্বার উন্মোচিত হলো। সেতুটি খুলে দেওয়া পরপরই অসংখ্য দর্শনার্থীর ভীড় যেন চোখে পড়ার মতো। নতুন এই সেতুকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিল স্থানীয় কিংবা দূরদূরান্তের পর্যটকদের মাঝে। কেউ ছবি তুলছেন। কেউ বা আবার ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকে ভিডিও আপলোড দিচ্ছেন।
২০২৩ সালের শেষ ও ২০২৪ সাল শুরুর আগেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় দৃষ্টিনন্দনও নজরকাড়া এ সেতু। সেতুটির ফলে নতুন করে চাঙ্গা হবে কক্সবাজারের অর্থনীতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধনের দেড় মাস পর খুলে দেয়া হল।
৩১শে ডিসেম্বর দুপুর থেকে বৈকালিক সময়ে বিভিন্ন এলাকার নর-নারী দর্শনার্থীরা সেতুটি একনজর দেখতে আসেন। কেউ স্বপরিবারে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে আবার কেউবা একা আসেন সেতু দেখতে। হাটার পাশাপাশি উঠতি প্রজন্মের তরুনরা মোটরসাইকেল কিংবা অপরাপর যানবাহনে করে সেতুটির এপার ওপার পার হতেও চোখে পড়ে। উঠতি বয়সের ছেলেদের মোটরসাইকেল আরোহীদের অনিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া গাড়ী চালানোর ফলে সবাইকে বেগ পোহাতে হয়।
ঈদগাঁওর বাসিন্দা রেহেনা আকতার জানান, সেতুটি পার হওয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। এমনি সুন্দর সেতু হবে সেটা কল্পনাও করেননি কেউ। অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করলো প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় পেশকার পাড়ার রোকসানা ইসলাম জানান কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট-খুরুশকুলের অপরূপ সেতুটির দু’এলাকার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো, পাশাপাশি এখন কক্সবাজার থেকে খুরুশকুল হয়ে ঈদগাঁওতে কম সময়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে।
পর্যটকদের দাবী, দৃষ্টিনন্দন সেতুতে পুলিশী টহল জোরদার রাখা হোক।
You must be logged in to post a comment.