সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / গরমে প্রস্রাবের সংক্রমণে করণীয়

গরমে প্রস্রাবের সংক্রমণে করণীয়

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2022/04/Kedny.webp?resize=620%2C322&ssl=1

গরমে প্রস্রাবের সংক্রমণে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক :
বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এই সময় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে তা হলো প্রস্রাবে সংক্রমণ বা ইউটিআই। ইংরেজি ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ইউটিআই। এই রোগটি সাধারণত মূত্রনালির একধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। এটির সমস্যা গরমের দিনে বেড়ে যায়।

দেহাভ্যন্তরে প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের বর্জ্য পদার্থ তৈরি হচ্ছে। দেহের বেশির ভাগ বর্জ্য পদার্থ মলত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিছু বর্জ্য পদার্থ ইউরিন বা প্রস্রাব আকারে বের হয়। এর ফলে শরীর সতেজ থাকে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে যখন মূত্রনালির নিম্নাংশ আক্রান্ত হয় তখন চিকিৎসাশাস্ত্রে এই পরিস্থিতিকে বলা হয় মূত্রথলির সংক্রমণ বা সিস্টাইটিস আর মূত্রনালির ঊর্ধ্বাংশ আক্রান্ত হলে তাকে কিডনির সংক্রমণ বা পায়েলোনেফ্রাইটিস বলে ধরে নেন বিশেষজ্ঞরা।

নারী কিংবা পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ঠিক কী কারণে প্রসাবের ইনফেকশান হতে পারে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক হাসিনাতুল জান্নাত বলেন, দীর্ঘ সময় প্রসাব আটকে রাখার কারণেই নারী ও পুরুষ উভয়কেই এই সমস্যায় পড়তে হয়, যা পরবর্তীতে মূত্রনালির সংক্রমণসহ নানা ধরনের জটিলতা তৈরি করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করাও এই রোগের বড় একটি কারণ।

ইউটিআই সমস্যায় বেশকিছু লক্ষণ রোগীর শরীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হওয়া, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাব করতে অসুবিধা অনুভব করা, বারবার অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে অস্বাভাবিকভাবে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করা, দুর্গন্ধময় ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি।

এসব লক্ষণের পাশাপাশি আরও থাকতে পারে জ্বর, বমি, বমিভাব, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসা কিংবা প্রস্রাবের পথে সাদাটে তরল বের হওয়া। বয়স্ক ব্যক্তির সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সময় নির্দিষ্ট উপসর্গ স্পষ্ট হয় না। তবে রোগী নিস্তেজ বোধ করেন ও কখনো কখনো অসংলগ্ন কথা বলতে পারেন।

উপসর্গ :

♦ প্রস্রাবের সময় মূত্রনালিতে জ্বালাপোড়া, ব্যথা
♦ জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
♦ প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন
♦ ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, প্রস্রাবে অতৃপ্তি
♦ বমি বমি ভাব বা বমি
♦ রুচি কমে যাওয়া
♦ শরীর দুর্বল লাগা
♦ প্রস্রাবে দুর্গন্ধ ইত্যাদি।

প্রথম থেকেই মূত্রনালির সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। এসব উপসর্গ স্পষ্ট হয়ে উঠলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা এই লক্ষণগুলোই আপনার শরীরে প্রস্রাবের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

এই পরিস্থিতিতে রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ ও নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সঠিক মেয়াদে, সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করে ও প্রস্রাব না আটকে রাখার অভ্যাস এই রোগটিকে অনেকটাই দূরে ঠেলে দেয়।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মতে, প্রস্রাবের সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশি বেশি ফলের জুস পান করতে হবে। নিয়মিত খেতে পারেন আপেল ভিনেগার সিডারও। এগুলো পানে ইউরিন সেন্ট হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের বার্নিং চাপ অনেকখানি কমে আসবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বোধ, টয়লেট ব্যবহারে সচেতনতা, বাড়ির বাইরে টয়লেট ব্যবহারে সংকোচ পরিহার ইত্যাদি অভ্যাস প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সাহায্য করবে। বিলম্বে চিকিৎসা নিলে বা একান্তই চিকিৎসা না নিলে ইনফেকশন হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। এই রোগকে অবহেলা করা ঠিক নয়।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Election-Sagar-22-4-2024.jpeg

ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জনের মনোনয়ন দাখিল

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের তফশিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/