মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস ও ম্যাজিক (ছাড়পোকা) গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-কন্যাসহ ৪ যাত্রী নিহত শিশু-নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রিংভং ঢালা এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহেশখালীর কুতুবজুম ৪নং ওয়ার্ডের মকতুল হোসেনের ছেলে মো. কালু (৪২), তার মেয়ে রীনা আক্তার (১৭), একই এলাকার সবুর আহমদের স্ত্রী কালা খাতুন (৫০) ও চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ খানের ছেলে মো. আলী রিয়াজ রায়হান খান (২৩)। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে ও শিশু রীনা হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
গুরুতর আহতরা হলেন-নজরুল ইসলাম (২৫), আবুল হাশেম (২৪), লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারঘেজার হেফাজ উদ্দিন (১২), চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলার নুরুল আলমের মেয়ে জয়বুনেচ্ছা (১৯), মহেশখালীর বড়কোপ এলাকার নুরুল হোসাইনের মেয়ে নুরে জন্নাত (৮), মাতারবাড়ি এলাকার ইমরুল হাসানের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, কুতুবজুম এলাকার সাবেকুন্নাহার (৩০), তার ছেলে সাহেদুল ইসলাম (৫), মেয়ে শাকেরা আক্তার (৫), কুতুবজুম এলাকার খাইরুনেচ্ছার (৩০), খুটাখালীর সাতডালিয়া পাড়ার মৃত গোলাম আলীর ছেলে বদি আলম (৫০)। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি মো.আশিকুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি সৌদিয়া পরিবহণের একটি বাস চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ঢালা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমূখী যাত্রীবাহি ম্যাজিক গাড়ি (ছাড়পোকা) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ তিনজন মারা যায়। গুরুতর ১১ জনসহ ১৬ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। তন্মধ্যে মালুমঘাট হাসপাতালে নেয়ার পর ঘটনাস্থলে নিহত মো.কালুর শিশু কন্যা রীনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত ম্যাজিক গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গেছে ও বাসটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তবে ম্যাজিক গাড়ির চালক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও যাত্রী বাহি সৌদিয়া গাড়ির চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে।
You must be logged in to post a comment.