কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘মুছা কাক্কার দা বাহিনী’ এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র মোরশেদ আলী (২৫)কে। নিহত মোরশেদ বরইতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ চান্দের বাপের পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সামাজিক বনায়নের জমির বিরোধ নিয়ে এ খুনের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
হত মোরশেদের মা মুজিবুনেচ্ছা চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেধাবী ছেলেকে বন্ধুরা খুন করেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মোরশেদের বড় ভাই রোকন-উজ-জামান বলেন, মাগরিবের পর হঠাৎ ১৫-২০ জন যুবক আমার বাড়ীতে হামলা করে। সবাই ছিল সশস্ত্র। আমাদের কোনঠাসা করে ছোট ভাই কলেজ ছাত্র মোরশেদকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। মোরশেদ মাটিতে লুটে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় মুমুর্ষূ মোরশেদকে চকরিয়া পৌর সদরের ইউনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে তার লাশ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এলাকার লোকজন জানায়, বরইতলীর পাহাড়ি গ্রামে মুছা কাক্কার নেতৃত্বে গড়ে উঠা দা বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের জমি দখল নিয়ে বাইরের লোকজনের পাশাপাশি নিজ দলের সদস্যদের সাথেও দ্বন্দ্ব-কলহ চলে আসছিল। তারই জের ধরে কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনা ঘটেছে।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহির উদ্দিন খান উজ্জল বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট করতে গিয়ে শরীরের অন্তত ১২টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: কামরুল আজম বলেন, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরিবার সদস্যদের মৌখিক বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। লিখিত এজাহারও দেয়া হবে। হত্যায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে।
You must be logged in to post a comment.