মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
মিয়ানমার সেনার অত্যাচার, নির্যাতন ও খুনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্প ছাড়াও নিকটবর্তী বনভুমিসহ লাগোয়া জনপদে। আশ্রয় নেয়া অধিকাংশ রোহিঙ্গা সড়ক ও পাহাড়ি পথ দিয়ে শহুর ও গ্রামীণ এলাকাগুলোতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। গত পক্ষকালে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে পূর্বে আসা রোহিঙ্গা আত্মীয়দের কাছে। আর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আটক করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।
চট্টগ্রাম পালিয়ে যাওয়ার সময় চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৭জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে। পরে তাদেরকে উখিয়াস্থ কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনদিনে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মো.রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি (ইনর্চাজ) মো. রুহুল আমিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত ২৭জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কয়েকদিন আগে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে ওইসব রোহিঙ্গা মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যাচ্ছে শুনে স্থানীয় এলাকাবাসির সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে নিজ খরচে একটি গাড়িতে করে আটক রোহিঙ্গাদের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.