সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অধুনা / চাই গরমেও আরাম

চাই গরমেও আরাম

অনলাইন ডেস্ক :

ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রা। দাবদাহে প্রকৃতি পুড়ছে। জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে কষ্টসাধ্য। তীব্র গরমে দৈনন্দিন জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যেমন প্রচণ্ড রোদের উত্তাপ, তেমনি রাতেও গরমের তীব্রতায় মুশকিল হয়ে পড়েছে।

সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে গরমকালে এটি বাধ্যতামূলক। প্রখর রোদ, ঘাম এবং ধুলোবালিতে আমাদের ত্বকের অবস্থা নাজুক।

 

ত্বক পরিষ্কার :

সর্ব প্রথম ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ত্বক পরিষ্কারের জন্য ভালো মানের ফেসওয়াস ব্যবহার করুন।

সপ্তাহে অত্যন্ত দুই দিন ঘরে তৈরি প্যাক লাগাতে হবে। এতে করে ত্বকের ভেতরের ময়লা দূর হয়ে ত্বকের উজ্বলতা ফিরে আসবে। ২ চামচ ময়দা, ১ চামচ মধু এবং পাকা কলার মাক্স লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গরমে ব্রণহীন ত্বক পেতে নিয়মিত নিম পাতা এবং চিরতার পেস্ট তৈরি করে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

যবের গুঁড়া ১ চামচ পানির সাথে মিশিয়ে পেষ্ট করে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।পারিষ্কার তোয়াল দিয়ে মুছে নিন।যবের গুঁড়া ব্রণ দূর করে ও মুখ পরিষ্কার হয়।

 

আর যা করবেন:

পানি পান :

এই গরমে ত্বক সুন্দর রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে চামড়া খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই নিয়মিত পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পানে ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ কমনীয়। ভাবছেন এতে নতুনত্বের কি আছে? ভুলে যান দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পানের ফর্মুলা। যতটুকু পানি পান করলে তৃষ্ণা নিবারণ হয় ততটুকু পানি পান করাই যথেষ্ট।

 

ময়েশ্চারাইজার :

আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

 

সানস্ক্রিন ক্রিম :

সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি বা অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। আমাদের স্ক্রিন ক্যানসারের জন্য দায়ী এ রশ্মি। আর তাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল ত্বকের জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করাটা অপরিহার্য। রোদ বা বৃষ্টি যাই হোক না কেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে খুব ভালো করে সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকে লাগাতে হবে। ঘরে রান্নার সময়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আবহাওয়া এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী পিএচপি দেখে ভালো মানের সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন কিনুন।

 

স্ক্র্যাব :

চিনি, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল দিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। চালের গুঁড়াও স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ত্বকে স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন।

খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকেও লাগাতে পারেন তরমুজের রস এবং অন্যান্য ফল। সুন্দর সজিব, সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকুন। গরমও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

 

হাত, পায়ের যত্ন নিন :
গরমে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পরে হাত, পা দুটোকে একটু স্বস্তি দিতে পাতিলেবুর রস দেওয়া বরফপানিতে দুটো পেপার টাওয়েল হাত-পায়ে জড়িয়ে রাখুন। দেখবেন আরামের সঙ্গে সঙ্গে পায়ের ঘামের দুর্গন্ধও দূর হবে।

 

গোসল প্রতিদিন :

গরমে অবশ্যই প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। অনেক সময় বৃষ্টি হলে বা একটু ঠান্ডা মনে হলে অভিভাবকেরা শিশুদের গোসল করাতে চান না। কিন্তু গোসল না করালে ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে যাবে। তবে জ্বর থাকলে নরম কাপড় ভিজিয়ে বারবার শরীর মুছে দিতে হবে। মাথা পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া যেতে পারে। আবার দিনে যদি শিশু দুবারও গোসল করতে চায়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। খেয়াল রাখতে হবে, দীর্ঘক্ষণ ধরে যেন গোসল না করে দিনে দুইবার গোসল করুন।

শিশুকে এক দিন পর পর সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে গোসল করাতে হবে। সাবান ব্যবহার না করলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ঘামাচি হয়। আর যদি ঘামাচি হয়েই যায়, তাহলে নরম কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছে দিলে ঘামাচি দূর হয়। এরপর পাউডার দিলে সে সতেজ থাকবে। তবে ঘেমে যাওয়া শরীরে কখনো পাউডার ব্যবহার করা যাবে না।

 

পোশাক হবে সুতির :

শিশুদের পোশাক ঢিলেঢালা, সুতির ও নরম কাপড়ের হতে হবে। সুতির পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। এমনকি রাতে শিশুকে কখনো খালি গায়ে ঘুমাতে দেওয়া ঠিক নয়। এতে ফ্যান বা এসির ঠান্ডা সরাসরি তাকে আক্রান্ত করতে পারে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, শিশুর ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে। এসির কারণে যেন খুব বেশি ঠান্ডা না হয়ে যায়।

সূর্যের সারাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া এই গরমে বাইরে বের হবেন না। আর বাইরে যদি বের হতে হয় তাহলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হতে ভুলবেন না। কালো রঙের পোশাক পরিধান করা এড়িয়ে চলুন। কেননা কালো রঙের পোশাক শরীর থেকে তাপ বের হতে দেয় না। তাই এই গরমে স্বস্তি পেতে সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরতে পারেন।

খুব গরমে তৎক্ষণাৎ বেশি ঠান্ডা জায়গায় যাবেন না বা অতিরিক্ত ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাবেন না। এতে তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। একটু অপেক্ষা করে গরম থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পরিবেশে যান। ফ্রিজের খাবার খাওয়ার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

গরমের তীব্রতায় অনেক প্রয়োজনীয় কাজও আমরা নানা সময় এড়িয়ে যাই। গরম আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। কয়েকটি জরুরি বিষয় খেয়াল রাখলেই এই গরমে জীবনযাত্রার ছন্দপতন ঘটবে না।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জালালাবাদে ফখরুদ্দিন ফরাজীর অটোরিক্সা নির্বাচনী জরিপে এগিয়ে

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে জালালাবাদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী (অটোরিক্সা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/