অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ :
কক্সবাজার পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ঝিলংজা। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাই পরবর্তীতে জেলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বা দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই ইউনিয়নে নৌকার বৈঠা ধরতে আগ্রহী ৪জন প্রার্থী। তারা ইতোমধ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের সুনজরে আসতে শুরু করে দিয়েছে পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন সহ প্রচার প্রচারনা।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগের তৃণমূলনেতা ও ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল গনি সাহেবের পুত্র মিজানুর রহমান হেলাল ও এরশাদের জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা বর্তমানে জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুল আলম চৌধুরীর পুত্র টিপু সুলতান, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার আকবর আহমদ জেলা আওয়ামীলীগের বরাবরে পেশ করেছেন প্রতীক সহ দলীয় সমর্থন প্রত্যাশার আবেদন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে বিগত দিনগুলোতে সুখে-দুঃখে পাশে থাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গনি সাহেবের পুত্র মিজানুর রহমান হেলাল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তৃণমূলের ভোটাররা মিজানুর রহমান হেলাল একেবারেই তৃণমূল থেকেই উঠে আসা একজন নেতা হিসাবে এবং তার পিতার সুনামের কারণে নৌকার প্রার্থী হলে অনায়াসে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন।
অপরদিকে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জহিরুল ইসলাম সিকদার আওয়ামী শ্রমিক রাজনৈতির সাথে জড়িত থাকলেও তিনি ইতিপূর্বে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার মাহাছন, শহিদুল্লাহ, জানে আলম, ফরিদুল আলম সহ অনেকে।
তারা আরও বলেন, জহিরুল ইসলামকে দলীয় সমর্থন দিলে তৃণমূলের সাধারণ ভোটাররা তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। ভোটারদের দাবী যদি জহিরুল ইসলাম সিকদারকে আওয়ামীলীগের প্রতিক দেওয়া হয় তবে, সেখানে বিদ্রোহী আরও প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই নিশ্চত জয়ী একটি ইউনিয়নে যদি প্রার্থী নির্বাচন ভূল হয়, সেক্ষেত্রে নৌকা প্রতিকের ভরাডুবি হবে।
আরেক প্রার্থী ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা আকবর আহমদ’র জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট রয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুল আলম চৌধুরীর পুত্র টিপু সুলতান।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, তিনি গত নির্বাচনেও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির অত্যন্ত দূর্বল একজন প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। পাশাপাশি তার নিজ এলাকা জামায়াতের শক্ত ঘাটি হিসাবে খ্যাত এবং ওই এলাকা হতে জামায়াতের একজন শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় টিপু সুলতান জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সন্দীহান দলের সাধারণ নেতা কর্মীরা।
দলীয় নেতা কর্মীদের দাবী, যোগ্যপ্রার্থী মনোনয়নে জেলার নেতৃবৃন্দরা যদি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ও মাঠের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন, তবে নৌকা প্রতিকের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন তারা।
You must be logged in to post a comment.