গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
আগামী ৩ অক্টোবর টেকনাফ সাবরাং ইউপি ২নং ওয়ার্ড উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কারণ গত ২৪মে এই ওয়ার্ডের গত ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য আক্তার কামাল মাদক পাচারে অভিযুক্ত হয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বর্তমানে এই ওয়ার্ডটি জনপ্রতিনিধি শূন্য।
এদিকে এই ওয়ার্ডের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে মানব ও মাদক পাচারসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে অনেক অপরাধী আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হয়েছে।
মানব ও মাদক পাচার মামলার অনেক আসামী এখনো পড়ে আছে কারাগারে। তার পাশাপাশি অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত অপরাধী। গত ২৪মে ২০১৮ অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল আইন-শৃংখলা বাহীনির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এর ফলে অত্র ওয়ার্ডটি জনপ্রতিনিধি শূন্য হওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে উক্ত ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রবিবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ। ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার মনোনয়ন পত্র বাছাই ও ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরো লেখা হয় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র কক্সবাজার নিবার্চন অফিসে রিটার্নিং অফিসার ও টেকনাফ নিবার্চন অফিসে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হতে সংগ্রহ করা যাবে।
উল্লেখ্য গত ২৪ মে ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এরপর ২৫মে সকালে কক্সবাজার দরিয়া নগর মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। অবশেষে তার মৃত্যুজনিত কারণে এ পদে উপ-নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা করে নিবার্চন কমিশন।
এদিকে নিবাচর্নী তফসিল ঘোষনার সাথে সাথে অত্র ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও আবার নড়েচড়ে উঠেছেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ড নির্বাচন করার জন্য ৪জন প্রার্থী মনোয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে। তারা হচ্ছেন নিহত ইউপি সদস্য আক্তার কামালের ছোট ভাই সাহেদ কামাল, ছিদ্দিক আহাম্মদ, সাবেক ইউপি সদস্য শামশুল হক,ও অলি আহাম্মদ। এই ৪ জন অত্র ওয়ার্ডে নতুন মেম্বার হওয়ার জন্য লড়বেন। গত বারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগে সভাপতি শামশুল হক মেম্বার অভিমত প্রকাশ করে বলেন,আমাদের এই ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরে মানব ও মাদক পাচার নিয়ে জর্জরিত। মানব পাচার বন্ধ হলেও মাদক পাচার অব্যাহত থাকায় অত্র এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন জনগন আমাকে নির্বাচিত করলে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অলি আহাম্মদ বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই এই এলাকায় যারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের সদস্যদের সঠিক তথ্য দিয়ে তাদেরকে সহযোগীতা করবো এবং এলাকার সাধারণ মানুষকে মাদকের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করব।
এদিকে সাবরাং ইউনিয়নের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা মতামত প্রকাশ করে বলেন, যে জনপ্রতিনিধি নিঃস্বার্থে মাদক প্রতিরোধ, এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে সেই ব্যক্তিকে অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত করতে হবে।
টেকনাফ নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই পর্যন্ত ৪ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। এই ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
You must be logged in to post a comment.