হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার স্কুল কলেজের ছাত্রীদের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে কানাচে নারীদের ওপর ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা, শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে যাওয়া একের পর এক বর্বর পৈশাচিক ঘটনায় বারবার সামনে এসছে চরিত্র অধপতনের নানা চিত্র।
উখিয়া ডিগ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী (চুমকি ছদ্মনাম) কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে যুবক তাকে জোর পূর্বক জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামড়িয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল করিম ও এ প্রতিবেদকসহ হাসপাতালে ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তায় বখাটে যুবককে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন।
উখিয়া সদর ষ্টেশনে লিটন স্টেডিও এর মালিকের ছেলে কর্তৃক গ্রামের এক অসহায় মুসলিম তরুণীকে স্টেডিওর ভেতর ধর্ষণ করে। এর পর কোটবাজার রংধনু স্টেডিওতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছবি তোলার অজুহাতে ধর্ষণ করা হয়। এতে অভিমানে ঐ মুসলিম তরুণী আত্মহত্যা করে। এসব ঘটনায় সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার অপরাধিদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামে। হাজার হাজার মানুষ তখন প্রতিবাদে অংশ গ্রহণ করে। সাংবাদিকরা তাদের বস্তুনিষ্ট লেখনির মাধ্যমে তাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জালিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মিনুয়ারা আক্তার মিনুকে তার বাড়ি থেকে স্থানীয় খাইরুল আমিনের নেতৃত্বে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সমিতি ঘোনা এলাকা থেকে উখিয়া ছাত্রলীগ নেতা মকবুল হোসেন মিথুনের সহযোগিতায় রাত ১১ টায় মিনুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসব ঘটনায় ফুটে উঠেছে চরিত্র অধঃপতন আর নষ্ট জীবনের চিত্র। এসব ঘটনা যেন আমাদের সমাজের নষ্ট পতিত জীবনের এক একটি প্রতীক। সমাজে তাদের সংখ্যা এখন অগণিত যারা কলুষিত করছে সমাজ।
এসব ঘটনার কারণ খুঁজতে অনুসন্ধানে জানা যায়, এক দিকে অল্প বয়সে যুবকদের হাতে অবৈধ অঢেল টাকার জোগান আর নৈতিকতার অবক্ষয়ের পাশাপাশি অপর দিকে হাতের নাগালে মরণ নেশা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক আর অভিভাবক ছাড়া নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ায় সর্বনাশের কারণ।
You must be logged in to post a comment.