সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ধর্মীয় / পবিত্র শবে বরাত আজ

পবিত্র শবে বরাত আজ

অনলাইন ডেস্ক :
আজ পবিত্র শবে বরাত। শবে বরাত একটি ফার্সি শব্দ যার কারণে এই শব্দের ব্যবহার আরবীতে নেই। তবে শাবান মাসের গুরুত্ব রয়েছে। ফারসি শব্দ ‘শব’এর অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দটি ফারসি ও আরবি উভয় ভাষাতেই প্রচলিত। ফারসি ভাষায় বরাত শব্দটির অর্থ হচ্ছে ভাগ্য। উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন।

শবে বরাত বা মধ্য-শা’বান (আরবি: نصف شعبان‎, প্রতিবর্ণী. নিসফে শাবান‎) বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। শবে বরাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা করেন, সেজন্য একে মুক্তির রাত বলা হয়। এ রাতকে লাইলাতুল মুবারাকা অর্থাৎ বরকতময় রাত, ‘লাইলাতুস সাক’ তথা পুরস্কারের সনদপ্রাপ্তির রাতও বলা হয়ে থাকে।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, মুহাম্মাদ (সঃ) এ মাসে বেশি বেশি নফল রোযা পালন করতেন। শাবান মাসের রোযা ছিল তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এমাসের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এবং কখনো কখনো প্রায় পুরো শাবান মাসই তিনি নফল সিয়াম পালন করতেন। এই হাদিসের ভিত্তিতে এ রাতে নফল আমল হিসাবে অনেকেই মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করে থাকেন।

প্রকৃতপক্ষে রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস হিসাবে শাবান মাস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। কেননা নবী করিম (সাঃ) শাবান মাসে এ দোয়াটি বেশি বেশি করতেন, ‘হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছার তওফিক দিন।’ রমজানের প্রস্তুতি হিসাবে নবী করিম এ মাসে বেশি বেশি করে নিজেও রোজা রাখতেন এবং অন্যদেরও রোজা পালন করতে বলতেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন তুমি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তখন তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখো।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এ দিনে রোযা রাখবে, সে অতীত ও ভবিষ্যৎ দুই বছরের মকবুল রোযার সওয়াব পাবে। সুতরাং সৎ কাজের মাধ্যমে এ রাত ও দিন অতিবাহিত করা উচিত।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে কুরান হাদিসের আলোকে আমল করার তাওফিক দান করুন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Sagar-23-4-2024.jpeg

ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কমিটি ঘোষণা : রিয়াজ সহ-সভাপতি মনোনীত

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/