দেশের হাসপাতালগুলোর কোভিড টেস্টের ফলাফল নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা ফুটবলার ও ফেডারেশনের। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের দেয়া রিপোর্টের সাথে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রিপোর্টের কোন মিল নাই। সাবেক ফুটবলারদের মতে, ফেডারেশনের দূরদর্শিতার অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার খেলোয়াড়রা। বাফুফে বলছে, বিভ্রান্তিকর রিপোর্টে ক্যাম্প নিয়ে বিপাকে তারা। আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় পর্যায়ের কোভিড টেস্ট নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের খোঁড়া চিকিৎসা ব্যবস্থার শিকার ফুটবলার ও ফুটবল ফেডারেশন।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ক্যাম্পে ফুটবলারদের আসার আগে স্থানীয়ভাবে কোভিড টেস্ট করিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছিল বাফুফে। তাই নিয়ম মেনেই আনোয়ার খান মডার্ন, এভারকেয়ার, স্কয়ার, কক্সবাজার জেলা হাসপাতালসহ, চট্টগ্রামে টেস্ট করায় ফুটবলাররা। যেখানে কোভিড নেগেটিভ আসে বিশ্বনাথ বাদে সব ফুটবলারের।
সাবেক ফুটবলার শেখ আসলামের মতে, বাফুফের দূরদর্শিতার অভাবে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে খেলোয়াড়দের।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই যদি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের আইসোলেটেডেট রেখে গ্রুমিং করা যেত তাহলে এমন অবস্থা হতো না।’
একদিন পরই বাফুফের করানো টেস্টে পাল্টে যায় চিত্র। সবশেষ ২৪ ফুটবলারের ১৮ জন পজিটিভ। ঢাকার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া নিয়েও কম হয়নি নাটক। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে খোদ ফেডারেশন।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘বাফুফের উদ্যোগ এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে করোনার রেজাল্ট এসেছে তাতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।’
এ তথ্য জানার পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় টেস্টের পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘কোথাও কোথাও একটা সমস্যা থাকে, ঠিকমতো পরীক্ষা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। উচিত ছিল একটা ভালোমানের ল্যাবরেটরি আর দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা।’
আরো পড়ুন: চেলসিকে দুই লেগে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টারে বায়ার্ন
তিন দফায় কোভিড টেস্ট করে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে রাখার কথা ছিল ৩৬জন ফুটবলারকে। ১৮জন পজিটিভ হওয়ায় এখন শঙ্কায় সুস্থ থাকা ফুটবলাররাও। আর অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে বাফুফে’র বিশ্বকাপের অনুশীলন ক্যাম্প।
সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.