কক্সবাজারের নাফ নদীতে ফের রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৯ নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০ আগস্ট বুধবার রাতে নাফ নদীতে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। নৌকায় ঠিক কতজন ছিলো এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপন করা হয়নি।
৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কূলে ভেসে আসা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। যার সবগুলো নারী ও শিশুর। আরও মরদেহ নদীতে ভাসছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, নাফ নদীর শাহ পরীর দ্বীপ পয়েন্টের পশ্চিমপাড়া থেকে কূলে ভেসে আসা মরদেহগুলো উদ্ধার করে এলাকাবাসী। উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সব মরদেহই নারী ও শিশুর।
তারা সকলে রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানের ফলে নৌকায় পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো বলে ধারণ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ৩০ আগস্ট বুধবার ভোরেও নাফ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। তখন ৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিলো। একদিন যেতে না যেতেই পুনরায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটলো।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট একযোগে প্রায় ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি সংক্ষেপে এআরএসএ। নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানী, সংঘাত, তীব্র নির্যাতন উপেক্ষা করে অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন এআরএসএ প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি ।
সূত্র:হাসান আদিল/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.