সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ভ্রমণ ও পর্যটন / বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাখির রাণী খ্যাত ময়ূরের প্রথম ফোটানো তিন ছানা মন কাড়ছে পর্যটকদের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাখির রাণী খ্যাত ময়ূরের প্রথম ফোটানো তিন ছানা মন কাড়ছে পর্যটকদের

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাখির রাণী খ্যাত ময়ূরের প্রথম ফোটানো তিন ছানা মন কাড়ছে পর্যটকদের

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
পাখির রাণী খ্যাত ময়ূরের প্রথম ফোটানো তিন ছানা মন কাড়ছে পর্যটকদের

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:

পাখির রাণীখ্যাত ময়ূরের প্রথম ফোটানো তিন ছানা মন কাড়ছে পার্কে আগত পর্যটকদের। সৌন্দর্যের পুঁজারী বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন সকল মানুষ। সেই সৌন্দর্য মন্ডিত প্রাণীকুলের মধ্যে অন্যতম পক্ষি (পাখী) শ্রেণীর প্রাণী ময়ূর। একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছে হয় । নয়ন জুড়ায়না তবুও। আর এ প্রাণী যখন বংশ বিস্তার করে তখন মানুষের মাঝে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। ময়ূর মাতা প্রথমবারের মতো তিনটি ছানা ফুটিয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। এ ময়ূর ছানাগুলো মায়ের সান্নিধ্যে থেকে কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক সমন্বয়ে সৃষ্ট পরিবেশে বড় হয়ে উঠার পাশাপাশি নিজ গোত্রের ন্যায় হয়ে উঠছে রুপান্নিতও।

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বৃহস্পতিবার সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বেষ্টনি ঘুরে ফিরে দেখছেন হাতেগোনা অল্প ক’জন পর্যটক। শরৎ ঋতুর দ্বিতীয় মাস আশ্বিনের প্রথম সপ্তাহে মেঘকাটা কাটফাটা গরমের কারণে পার্কে পর্যটকের আনাগোনা কমে গেছে। নিকটবর্তী এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থী আলমগীর ও তার স্ত্রী বলেন, ছোট সন্তানের আবদার মেঠাতে বেড়াতে এসেছি। প্রায় সকল প্রাণী দেখেছি। সদ্য ফোটানো ছানাসহ ময়ূর দেখেই আমার শিশু ছেলে অত্যধিক আনন্দ উপভোগ করেছে।

সাফারি পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পার্কে উন্মক্ত বেষ্টনিতে সম্প্রতি ফোটানো তিনটি ছানাসহ ১০টি ময়ূর রয়েছে। তন্মধ্যে ২টি ক্রয় করে আনা হয়। ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ টুকু ও হারিছ চৌধুরীর বাসা থেকে উদ্ধার করা ময়ূরের মধ্যে ৫টি পার্কে রয়েছে। এই ময়ূরগুলোর মধ্যে তিন বাচ্চা ময়ূরের লিংগ সনাক্ত করা যায়নি এখনো। বড় ৭টির মধ্যে ৪টি মা ময়ূর রয়েছে। এ ময়ূরগুলো ৮ বছরের মধ্যে তিনবার ডিম দিলেও ওই ডিম নষ্ট হয়ে যায়। চর্তুথ দফায় ১৫ জুন দেয়া ডিম থেকে ১৩ জুলাই তিনটি বাচ্চা ফোটায়। পার্কে এটাই প্রথম ময়ূরের বাচ্চা ফোটনোর ঘটনা।

প্রাণী বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাজহার চৌধুরী আরো বলেন, স্বাভাবিকভাবে তিন বছর বয়স হলেই ময়ূর ডিম দেয়। এই ডিমে টানা ২৮দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। পরিস্কার পরিছন্ন ও সৌন্দর্যের প্রতিক খ্যাত ময়ূর নিচু এলাকার গহীন অরণ্যে বিচরণ করতে অভ্যস্থ এবং অন্য প্রাণীর আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে রাতে বাস করে গাছের শাখা-প্রশাখায়। তাই এই পার্কেও ময়ূরের বাস উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পার্কের ময়ূরগুলো প্রকৃতি থেকে কচি ঘাস ও কীটপতঙ্গ খায় এবং কৃত্রিমভাবে সরবরাহ করা গম, চাউল, ভুট্টা ও পল্ট্রি ফীডের গুড়া করা খাবার খেতে দেয়া হয়। সহনীয় পরিবেশ ও নিয়মিত পছন্দনীয় খাবার পাওয়ায় পার্কের ময়ূর দিনদিন বেড়ে উঠছে আপন মহিমায়।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স এর সৌন্দর্য হাতছানি দিচ্ছে, #https://coxview.com/tourism-lama-mirinja-rafiq-20-09-2023-00/

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স এর সৌন্দর্য হাতছানি দিচ্ছে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান গুলোর অন্যতম বান্দরবানের লামার ‘মিরিঞ্জা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/