বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর ৪৬ বছরের মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহায়তা।
বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন জাপানের সাথে বাংলাদেশের ৪১তম অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশের ৭টি মেগা প্রকল্পে ঋণ সহায়তা হিসেবে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে জাপান। এই ৭ মেগা প্রকল্পগুলো হলো- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮৯.০১৬ বিলিয়ন ইয়েন), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিতকরণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (ঋণের পরিমাণ ৭২.১৯৪ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫) (ঋণের পরিমাণ ৫৫.৬৯৬ বিলিয়ন ইয়েন), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১.৯০৬ বিলিয়ন ইয়েন), ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১১.২১৮ বিলিয়ন ইয়েন) এবং নগর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্প (ঋণের পরিমান ২৮.২১৭ বিলিয়ন ইয়েন)।
বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকবেলায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এই ঋণ সহায়তায় সুদ হবে ০.৬৫%। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২০ বছর ও রেয়াতকাল (গ্রেস পিরিয়ড) থাকছে ১০ বছর।
ঢাকার জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা হিসেবে ২০১২ সাল থেকে পাশে রয়েছে জাপান। তাদের দেওয়া মোট ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ (প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে) বাংলাদেশে এসেছে। এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাবাহিক রাখতে তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.