সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / নির্বাচন সংক্রান্ত / বান্দরবানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশের আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশের আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

Police - Rafiq - Lama 11.4.16 news 3pic -f1 -(1)

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :

বান্দরবানে ইউপি নির্বাচনে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের একই মঞ্চে উপস্থিত করে নির্বাচনী আচরণ বিধি মানার দৃঢ় অঙ্গিকার করান বান্দরবানের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী তৃতীয় দফায় আগামী ২৩ এপ্রিল বান্দরবানের ৬টি উপজেলায় ২৫টি ইউনিয়নে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এ নির্বাচন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।

১১ এপ্রিল সোমবার বান্দরবান পুলিশ লাইন্সে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দেশের একেবারেই তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচনী উৎসব। এবারই প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউপি নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা রোধ, ভোটের দিন এবং পূর্বাপর সময়ে প্রাণহানির ঘটনা পরিহার করতে সকলকে অনুরোধ করেন। যে কোন প্রকারে বিজয়ী হওয়ার প্রবণতা কাজ করে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মধ্যে। তাছাড়া স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তারের কারণে সহিংসতার আশংকা বরাবরই থেকে যায়। অনেক সময় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা কিংবা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরাদের এ সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। শুধু অভিযোগই নয় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা দৃশ্যমান। আর তাই তৃণমূলে উৎসাহ উদ্দীপনার নির্বাচন রূপ নেয় উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার। সহিংসতায় মেতে উঠে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর আর ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয় আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের। এসব কিছু বিবেচনায় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন আচরণবিধি সংক্রান্ত আইন শৃংখলা সভার আহবান করা হয়েছে।

সভায় জেলার সকল চেয়ারম্যান প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, ইউএনও, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঞ্চালনায় আচরণবিধি সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক। এছাড়া আনসার কমান্ডার মীর আলমগীর, সেনা রিজিয়নের মেজর তৌহিদ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতার উত্তাপ বান্দরবানে লাগেনি। এবারও তার আচড় লাগবেনা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানতম সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশের ১৫শত সদস্য এ নির্বাচন দায়িত্ব পালন করবে।

সহযোগিতায় রয়েছে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও আনসার। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখাবে প্রশাসন। সকলের সমন্বিত সহযোগিতায় নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে এবং যে কোন ধরনের সহিংসতা মোকাবেলায় বদ্ধ পরিকর পুলিশ বাহিনী।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও উপজেলা নিবার্চন থেকে ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন

নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নানান কল্পনা ঝল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/