একটু পেছনে তাকালেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাকে। সেই ২০০৭ সালে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পাইয়ে দেওয়ার শেষ লাইনটা তিনিই টেনেছিলেন। মনে আছে তার নাম? তিনি যোগিন্দর শর্মা।
যোগিন্দর ছিলেন এক পুরো দস্তুর ক্রিকেটার। ২০০৭ সালে ফাইনালে ভারতের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মিসবাহ উল হককে ফিরিয়ে দিয়েই জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। সেই যোগিন্দরের এখন নতুন পরিচয়ে পরিচিত, যেখানে নেই ক্রিকেটের কোন ছোঁয়া। হ্যা তিনি এখন একজন পুরোপুরি পেশাগত পুলিশ অফিসার।
সুপারিন্টেন্ডেন্ট থেকে ডিএমপি পদে উন্নতি হয়েছে তার। ছবিঃ সংগৃহীত
যোগিন্দর শর্মাকে এখনো ভারতের মানুষ ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের নায়ক মানে। ওই একটা ম্যাচেই বদলে গিয়েছিল তার জীবন। নিজের এই বদলে যাওয়া প্রসঙ্গে যোগিন্দর বলেন, ‘ওই সময় মানুষ রাস্তাঘাটে আমাকে দেখলে চিনতে পারতো। অন্যের বাইক চালানো ছেড়ে নিজের গাড়ি কেনার পথটা তখনই খুঁজে পাই।’
কিন্তু এরপরেই ক্রিকেটার যোগিন্দরের জীবন ও পেশা পালটে যায়। ২০১১ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। দলে ফেরার জন্য অনেক চেষ্টাও করেন কিন্তু পেরে ওঠেননি। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটাও মরে যায়। তিনি বলেন, ‘আমার খুব বাজে ভাবে মাথায় আঘাত লাগে, মাথা ফেটে যায় এবং ঘাড়েও আঘাত লাগে। আমি আইসিউতে ছিলাম। প্রায় ৪০-৪৫ টি সেলাই করা হয়েছিল অপারেশন করে।’
ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়া সেই যোগিন্দর এখন একজন পুরো দস্তুর পুলিশ অফিসার। হরিয়ানা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে কর্মজগতে প্রবেশ করেন যোগিন্দর। সাড়ে আট বছর পর তিনি রাজ্যের ডিএসপি পদে অধিষ্ঠিত। বিশ্বকাপের সাফল্যের পরে সম্মান সূচক ভাবে এই পদে তাকে সুযোগ দেওয়া হলেও, পরবর্তিতে নিজের পেশা হিসেবেই নিয়ে নেন। বর্তমানে স্থানীয় ভাবে বেশ নামকরা পুলিশ তিনি।
২০০৪ সালে শুরু হয়ে ২০০৭ সালেই এই বোলারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। তবে পরবর্তিতে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে ফিরতে চাইলেও তা আর ঠিকভাবে হয়ে ওঠেনি।
সূত্র: প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.