এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক আর ঈদগাঁওর প্রধান সড়কসহ উপ-সড়ক জুড়েই তিন চাকার যানবাহন টমটম-অটোরিকসা এখন অল্প বয়সী শিশু কিশোরের হাতে। যাত্রীরা চরম আতংক মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করে। অদক্ষ, আনাড়ী ও চালকদের বিষয়ে দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এসব চালকদের বেপরোয়া যান চলাচলের কারনে অপ্রীতিকর দুর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেন তারা। একদিকে ব্যাটারী চালিত তিন চাকার গাড়ীর কারণে এলাকায় বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে যত্রতত্র স্থানে বাড়ছে অযথা যানজট।
দেখা যায়, মহাসড়কে দূরপাল্লার বড় বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে যন্ত্রচালিত তিন চাকার যান চলছে সমান তালে। বড় বড় গাড়ীকে তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালাচ্ছে এসব গাড়ী। এছাড়া গ্রামীণ সড়কে অদক্ষ আনাড়ী, অল্পবয়সী ও প্রশিক্ষণবিহীন চালকের সংখ্যা বেড়ে চলছে। কোন রকম ভয়, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়া রাস্তায় দূরন্ত বেগে ছুটে চলছে এ যান। ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। যন্ত্রচালিত গাড়ী মহাসড়কের মত ব্যস্তসড়কে চলে অনেকটা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। বিদ্যুৎ চালিত অটো ও টমটমের পাল যেন বৃহত্তর এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ভরপুর হয়ে উঠেছে।
তবে অসংখ্য পথচারীরা জানান, এ যানবাহনের কারনে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে প্রবেশ করাতো দুরের কথা, হাঁটাচলা দায় হয়ে পড়ে। ঈদগাঁও বাজারের প্রধানসড়কসহ উপ-সড়কগুলোতে তিন চাকা পরিবহন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এ যানবাহন নিয়ে কারো স্বস্তি, কারো অস্বস্তি প্রকাশ করতে শোনা যাচ্ছে।
অভিজ্ঞ চালকরা জানান, মহাসড়ক বা উপসড়কে ছোট কিশোরের হাতে যেন টমটম বা অটোরিকসা না দেয় মালিকরা। সেসব বিষয়ে নজর রাখা একান্ত জরুরী। মালিকদের দায়সারা মনোভাবের ফলে একটি দুর্ঘটনা, সারাজীবনের কান্নায় পরিণত হতে পারে ?
You must be logged in to post a comment.