সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / মহিলা এনজিও কর্মীর কান্ড! এক বছর আগে ডিভোর্স দেয়া স্বামীর বিরুদ্ধে স্বামী পরিচয়ে ফের মামলা

মহিলা এনজিও কর্মীর কান্ড! এক বছর আগে ডিভোর্স দেয়া স্বামীর বিরুদ্ধে স্বামী পরিচয়ে ফের মামলা

Women

বার্তা পরিবেশক :

স্ব-ইচ্ছায় ডিভোর্স দেয়ার প্রায় এক বছর পর স্বামী পরিচয়ে ডিভোর্স দেয়া স্বামীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা করেছে এক মহিলা। এনজিও কর্মী বেবী আকতার তার ডিভোর্স দেয়া স্বামী শরীফুজ্জামান পারুলের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে। বেবী আকতার (৪০) শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার ওসমান গণির মেয়ে। শরীফুজ্জামান পারুল (৩২) চকরিয়ার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার ফৌজুল কবিরের পুত্র।

এদিকে ডিভোর্স দেয়া স্মামীকে ফের স্বামী পরিচয়ে মামলা করায় শরীফুজ্জামান পারুলের গ্রামে বাড়ি লক্ষ্যারচরে সর্বত্র সাধারণ জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ২ মার্চ কক্সবাজার একটি হোটেলে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে বিয়ে হয় শরীফ ও বেবীর মধ্যে। ইতোমধ্যে দু’জনের সংসারে মেহেরুজ্জামান নামের একটি কন্যা সন্তানও আসে। শরীফ অভিযোগ করে বলেন, বেবী বয়স এবং তার আগের সংসারের ১৮ বছর বয়সী পুত্র সন্তান থাকার কথা গোপন করে তার সাথে প্রতারণা করেছে। তবুও সব ভুলে বেবীর সাথে সংসার করতে চেয়েছি। কিন্তু যেতে না যেতেই বেবী তার ভাইয়ের ঘর তৈরীর জন্য ৫ লাখ টাকা ও কাবিনের বাকী ২ লাখ টাকা চেয়ে বসে আমার কাছে। সংসার টিকাতে তাও মেনে নিই। শরীফ জানান কাবিননামার বকেয়ার ২ লাখের পাশাপাশি চেকের বিপরীতে বেবীকে ৫ লাখ টাকা ধার দিই। বেবীকে ধার দেয়া চেকের টাকা চাওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় মেয়েকে নিয়ে বেবী বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর পরই শরীফের মাথায় বজ্রপাত। ২০১৫ সালের ২৩ মে বেবী শরীফের ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে তা নিজেই কার্যকর করে নেয়।

অভিযোগে জানা যায়, এই ঘটনায় হতবিহবল শরীফ বেবীর বিরুদ্ধে চকরিয়া আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। চতুর বেবীও বসে নেই, চলতি বছর ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তালাক মতো শরীফকে স্বামী অস্বীকার করে চেক উদ্ধারের নামে এডিএম কোর্টে এম.আর মামলা এবং টেকনাফ থানায় ডিভোর্স দেয়া স্বামী বিরুদ্ধে পৃথক জিডি করে। এসব মামলাও জিডি তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট শরীফের পক্ষে যায়। আর যায় কোথা-বেবী আকতার কূল কিনারা না পেয়ে এক বছর আগে তারই ডিভোর্স দেয়া, আদালত ও থানায় অস্বীকার করা স্বামীকে ফের স্বামী পরিচয়ে শরীফকে ১নং আসামী করে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালে মামলা দায়ের করে। আসামী করা হয় শরীফের বৃদ্ধা মা, বড় ভাই, কলেজ পড়ুয়া ভাই ও ভগ্নিপতিকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, শরীফের বৃদ্ধা মা মালেকা বেগম জানান, আমার ছেলের সাথে বেবী বিয়ে হলেও পরে তা ভেঙ্গে যায়। এতদিন পর হয়রানি করতে বেবী এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। শরীফের বড় ভাই আসাদুজ্জামান বাবুল বলেন, দু’জনের বিয়ে হয়েছে শুনেছি। তবে বেবীকে কখনো দেখিনি। তবুও কোর্টে কেন এই মামলা বুঝতে পারছি না।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/06/Shok-1.jpg

অ্যাড: হাসান সিদ্দিকী’র মাতার মৃত্যুতে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির শোক প্রকাশ

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি :কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হাসান সিদ্দিকী এর মাতা ছকিনা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/