আরো গণতান্ত্রিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করায় রওশনের ওপর ক্ষেপেছেন এরশাদ। তার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে সোমবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এতে বলেছেন, রওশন সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য রেখেছেন- এই ফোরামে এটা তার এখতিয়ার বহির্ভূত।
সেই সঙ্গে ১৪ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নাই বলেও রওশনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন এরশাদ।
রোববার রওশন এরশাদের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, সংসদীয় দল পার্টির একটি শাখা মাত্র। এই শাখার দায়িত্ব পার্টির নীতিমালা অনুসারে শুধু সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। নীতি নির্ধারণী নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনা তাদের এখতিয়ারে নেই। তিনি পার্টিকে কারো ‘একক সম্পতি বা কোনো কোম্পানি নয়’ বলে সংগঠনকে হেয় করেছেন।
এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা জাতীয় কাউন্সিলে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। যা গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ ধারা বলাটাই দলীয় গণতন্ত্রকে অবমাননা। এই ধারাবলে রওশন এরশাদকেও দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা একক কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে দুই বার সময় নেওয়ার পর এবং তারপর সকলের মতামতের ভিত্তিতে দুইবার তারিখ পরিবর্তনের পর প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৪ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নাই।
স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, রওশন এরশাদ বিভিন্ন দলে চলে যাওয়া কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, “পার্টির ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হারিয়েছি”। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, যে নেতারা দল ছেড়ে চলে গেছেন, তারা প্রত্যেকেই বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো দল থেকে জাতীয় পার্টিতে এসেছিলেন। ওইসব দলের ভুলের কারণেই কি তারা দল ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে এসেছিলেন?
এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি সম্পূর্ণভাবে একটি গণতন্ত্র চর্চার রাজনৈতিক দল। এই দলে গঠনতন্ত্রের বাইরে কখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি- আর হবেও না।
সূত্র:বাংলামেইল২৪ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.