সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আমরণ অনশনে কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সরকার স্বীকৃত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অনশন ভাঙাতে গিয়ে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তবে বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট তারিখ না বলায় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে পাত্তা দেননি অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর অনশনস্থলে যান নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার সঙ্গে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন।

সে সময় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সরকারি সকল প্রক্রিয়া একটা সুনির্দিষ্ট বিধি মেনে চলে। এখানে যাচ্ছে তাই করার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত সকল নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি এ সরকারের আমলেই কাজটি সমাপ্ত করে যেতে পারব।’

‘আপনারা শিক্ষা পরিবারের সদস্য, আমিও তাই আমরা পরস্পরের দুঃখ বেদনা বুঝি। এ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকেই শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এটিও সরকারের চিন্তায় ছিল। কিন্তু এই কাজের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত বলে হুট করে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে এই সরকারের আমলেই কাজটি শেষ হবে এমন প্রত্যাশা আপনারা করতে পারেন’, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তবে অনশনরতরা ‘হবে না, হবে না, সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে হবে’ বলে মন্ত্রীর আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মাইক্রোফোনে আসেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আপনারা বোধহয় কথাটি বুঝতে পারেন নি। আপনাদের দাবীর সঙ্গে আমরা দ্বিমত নই। এই দাবি পূরণ এখন সময়ের ব্যাপার।’ সচিবের বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন অনশনরতরা।

অনশনে শিক্ষকরা।

টানা ৫ দিন অবস্থান কর্মসূচির পর গত ৩০ ডিসেম্বর শনিবার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর রোববার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ডাক দেন। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে যোগ দেন।

বেসরকারি যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের দেওয়া বেতন পান সেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। এই পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মূল বেতনের ১০০ ভাগ সরকার প্রদান করে। মূল বেতন ছাড়াও নাম মাত্র পরিমাণে হলেও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, দেশে বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এক দশকেরও বেশি সময় থেকে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।

ছয় বছর বন্ধ থাকার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে এমপিও ভুক্ত করে। ‘তহবিল সংকট’ দেখিয়ে তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর এমপিও ভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়া শিক্ষকরা তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

বর্তমানে এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে চার লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন।

 

সূত্র:priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় শক্তিশালী কমিশন গঠন করার প্রস্তাব -এমএএফ’র সেমিনারে

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। নানা কারণে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/