অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে মামলাটির আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই ট্রাইব্যুনালের বিচারক। ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আসামি সেফাতউল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হলো।
গত ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন) মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অল্প সময়ে ‘তারকা’ বনে যান সেফুদা।
বর্তমানে অস্ট্রিয়া প্রবাসী এ বাংলাদেশির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।
You must be logged in to post a comment.