জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২৮ জনকে আসামি করে আদালতে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে র্যাব-৭ এর তদন্ত কর্মকর্তা।
রোববার দুপুরে বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৭ এর এএসপি রুহুল আমীন।
আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগপত্রে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, দুই আইনজীবীসহ শহীদ হামজা ব্রিগেডের ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২১ জন কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলা অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। আমরা এজন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর অভিযোগপত্রটি আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
র্যাব জানায়, জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডকে অস্ত্র কেনার জন্য এক কোটি ৮ লাখ টাকা যোগানোর অভিযোগে গত বছরের ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপনসহ চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যরিস্টার শাকিলা ফারজানাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। এর মধ্যে আইনজীবী লিটন সুপ্রিম কোর্টে ও আইনজীবী মাহফুজ চৌধুরী বাপন ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত।
পরে ৫ সেপ্টেম্বর জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে রাজধানীর টঙ্গীর তুরাগ এলাকা থেকে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এনামুল হককে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব তাদের চট্টগ্রামে এনে বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখায়। সন্ত্রাস দমন আইনে হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলায় আইনজীবী লিটন ও বাপন গত ১৪ ডিসেম্বর জামিন পান।
সন্ত্রাস দমন আইনে করা বাঁশখালী থানার এক মামলায় এর আগে জামিন পান ওই দুই আইনজীবী। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর তারা মুক্তি পান।
দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর শাকিলাসহ তিন আইনজীবী আদালতে দুই দফা জবানবন্দি দিলেও তারা জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা জানান, মামলা পরিচালনার জন্য মক্কেলের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন।
সূত্র: রাইজিংবিডিডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.