ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম আশ্বিনী পূর্ণিমার হিসেবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী নিষিদ্ধের এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস সংশোধন নিষিদ্ধের সময় গত বছরই ৭ দিন বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। এর আগে এ সময় ছিল ১৫ দিন। ২০১৫ সালের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন থাকলেও ২০১৬ সালে তা বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হলেও একই বছর তা দ্বিতীয় দফায় আরো ৭ দিন বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি বলেন, প্রজনন মৌসুমে এবার ইলিশ ধরার নিষিদ্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ থেকে ২২ আগস্ট। এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ১ থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ, মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মৎস্য সংরক্ষিত এলাকা, মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ৎ, হাট-বাজার, চেইনসপে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, বিজিবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের এই সময়ে জেলেদের ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূটির আওতায় চাল সরবরাহ করা হবে।
সূত্র:আবু আজাদ/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.