নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
নতুন উপজেলার একমাত্র স্রোতধারা নদী ঈদগাঁও নদী এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহত্তম বাজার ঈদগাঁও বাজার, বাস স্টেশন ও নদী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিচ্ছে। পরবর্তীতে সেখানে বেড়া বা দেয়াল দিয়ে নদী বক্ষে গড়ে তুলছে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি সহ বহুতল ভবন।
জানা যায়, এই নদী ঈদগড়ের পাহাড়ী এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ঈদগড় বাজার, গজালিয়া, ভুমরিয়া ঘোনা, ঈদগাঁও, পোকখালী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
সুত্র মতে, এই নদীর পানি দিয়ে ঈদগড়, ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী ও পোকখালী ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান চাষ করা হয়। এতে উৎপন্ন হয় কয়েক লাখ মন বুরো ধান।
এ নদী দিয়ে একসময় বর্ষায় মাল বোঝাই নৌকা, ইন্জিনচালিত বোট ও কার্গো বোট চলাচল করত। দখল-দূষণে এবং কালের ব্যবধানে সেসব দিন এখন হারানো ইতিহাস। এখন সেই ঐতিহ্যবাহী ফুলেম্বরী নদী অস্তিত্ব সংকটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন ব্রীজের পশ্চিম দিকে, বাঁশঘাটা ব্রীজের আগে ও পরে বাজারের সব বর্জ্য, পলিথিন, প্লাস্টিকের অপচনশীল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। এসব দুষণে ঈদগাঁও নদী ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
অপরদিকে গজালিয়া, ভোমরিয়াঘোনা, খোদাইবাড়ী এলাকায় নদী তীরবর্তী গড়ে পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্য এবং নদী উপকূলে বসবাসরত বাসিন্দাদের বাসা-বাড়ির আবর্জনা সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন নদী পুনঃখনন না করায় নদীর অনেক অংশে বালি ও পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছ ফুলেশ্বরী নদী। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকি না থাকায় নদী খেকোদের দখল থাবায় ক্ষত-বিক্ষত ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদী।
ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের মতে, নদীটিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ পুর্বক প্রাকৃতিক মাছের অভয়ারণ্য ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষায় নদীটি পুনঃখনন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
পরিবেশ সংগঠক কাফি আনোয়ারের মতে, প্রাকৃতিক পরিবেশ আর কৃষিকে বাঁচাতে হলে ফুলেশ্বরী নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
তাই এই ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদী দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং বাজারের নাগরিক বর্জ্য-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
You must be logged in to post a comment.