নিজস্ব প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে ফের রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে পিটিয়ে ও পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
নিহত মো. রফিক (৩৫) উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ ব্লক-এ/৯’র দিল মোহাম্মদের ছেলে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ।
উখিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ১০/১৫ জনের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুখে মুখোশ পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভিকটিম রফিককে টেনে হেঁচড়ে উপরোক্ত ঘটনাস্থলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করতঃ লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতি স্বাভাবিক বলে তারা জানান।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এএসপি মো. ফারুক আহমদ জানায়, মুখে কালো কাপড় বাঁধা ১০-১৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্যাম্প-১৯ এলাকার রোহিঙ্গা রফিককে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার নিজ ব্লক থেকে টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনা জানার পর ৮ এপিবিএনেট তাজনিমার খোলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের দেহ উদ্ধার করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু হয়।
এএসপি ফারুক আরও জানান, লাশ উদ্ধার করার পর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরিবারের ধারণা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছেন। তবে, কেন তুলে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যা করা হলো তা নিশ্চিত করতে বলতে পারেনি তারা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বিকাল ৫টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে রফিক নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিনে ক্যাম্পে একাধিক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইমামসহ একাধিকজন নিহত ও শিশুরাও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.