হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেছেন, কোন সমাজের মানুষ কতটুকু সভ্য তা ওই সমাজের পরিবারগুলোর দুটি জিনিসের মাধ্যমে বোঝা যায়। এর একটি হচ্ছে তার শৌচাগার আর একটি রান্নাঘর। তাছাড়া শৌচাগার ও রান্নাঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও সুস্থ থাকে।
বুধবার বেলা বারোটায় উখিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবে শৌচাগার ব্যবহারে রোহিঙ্গাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।শৌচাগার ব্যবহারে রোহিঙ্গাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা। সুস্থ জীবন সবারই কাম্য। আর এই সুস্থতার জন্য শৌচাগার ব্যবহারে সতর্ক হওয়া জরুরি। শৌচাগার ব্যবহারে পরিচ্ছন্নতা শুধু পরিবেশই রক্ষা করে না শারীরিকভাবেও সুস্থ রাখে।
উখিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও আলোকিত উখিয়া পত্রিকার সম্পাদক মিজান উর রশিদ মিজান বলেন, যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ করার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ যদি সচেতন হয় তাহলে পরিবেশও রক্ষা হবে সেই সঙ্গে মূল্যবোধও উন্নত হবে। সচেতনতার সৃষ্টির পাশাপাশি শতভাগ শৌচাগার ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সকলে প্রতি আহবান জানান।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগস্ট মাস রোহিঙ্গাদের জন্য শোকের মাস। বিগত সময়ে পালিয়ে আসা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদের মতো করে তারা আয় রোজগারের পথ তৈরি করেছেন। এদের একজন মোরশেদ আলম।
তিনি জানান, রাখাইনের মংডুর দক্ষিণে সীতাপাড়ায় অনেক জমি-জমা ছিল তাদের। বিগত কয়েক বছর আগে একবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মাঝ খানে যখন একটু শান্তি হয়েছিল তখন মিয়ানমারে জায়গা-জমি ও ঘরবাড়ি ফিরে পাবেন সেই আশায় এক বছর পর মিয়ানমারে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশা তার পূরণ হয়নি। গত বছর ২৫ আগস্ট মিয়ানমার আরকান রাজ্যে আবারও শুরু হয়ে সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী রাখাইনদের অত্যাচার ও নির্যাতন। আবার তাকে জীবন বাঁচাতে সব কিছুর মায়া ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে বোনের ঘরে এসে থাকছেন দুই সন্তানের জননী মংডুর রহিমা খাতুন।
আত্মীয়তার সূত্র ধরে বসবাস করছেন এখানে, তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসার আগে পালাতে গিয়ে তার স্বামী ও মেয়ে মিয়ানমার সেনা ও উগ্রপন্থী রাখাইনদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের জন্যে খাবার পানি ও শৌচাগারের ব্যবস্তা করেছেন। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
You must be logged in to post a comment.