সাধারণ ফোনে অফলাইনে টাকা লেনদেনের সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিজিটাল মানি(ডি.মানি)। ডি.মানি’র ওয়ালেট কিংবা সেবা নিতে গ্রহীতাদের স্মার্টফোন এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। নিরাপদ ডি.মানি এনএফসি প্রযুক্তি সম্পন্ন চিপ ও পিন কার্ড ব্যবহার করে উক্ত অর্থনৈতিক বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যাবে। ডি.মানি ব্যবহার করার ফলে অর্থ লেনদেনের জন্য কোনো ব্যাংকেও যেতে হবে না গ্রাহকদের।
এই প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে বাজেট ধরা হয়েছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। সিনটেক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরের যৌথ পরিচালনায় ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক)-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডি.মানি বাংলাদেশ লিমিটেড যাত্রা শুরু করেন।
শুরুতেই উদ্দীপন অ্যানার্জি লিমিটেড (ইউইএল)-এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডি.মানি। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে উদ্দীপনের সেবা গ্রহণকারীদের ডিজিটাল কারেন্সি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সেবা দিবে ডি. মানি। বাংলাদেশের এমএফআই সম্প্রদায়ের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সৃষ্টিশীল সেবা প্রদান করবে ডি.মানি ও উদ্দীপন।
উদ্দীপনের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে যারা অর্থের লেনদেন কোনো ইলেক্ট্রনিক বা ব্যাংকিং উপায়ে করেন না, তারা লোন সংগ্রহ, টাকা জমার রশিদ কিংবা টাকা ফেরত, এজেন্ট ব্যাংকিং, মার্চেন্ট ক্রয়/ নিবন্ধন, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম সংগ্রহ, অভিযোগ গ্রহণ এবং বিল পরিশোধ করতে পারবেন ডি.মানি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। এমনকি সেবাগ্রহণকারীরা নিজেদের ফিচার ফোনের মাধ্যমেও দি মানি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি কম্পায়েন্স, ই-কমার্স এবং নন-কোর ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিবে ডি.মানি।
ইউইএল’র চেয়ারপারসন মোঃ ইমরানুল চৌধুরী বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ডি.মানি’র সঙ্গে মিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত জনগনকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সেবা দিতে আমরা সক্ষম এবং এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।’
দি মানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির বলেন, ‘ উদ্দীপনের সঙ্গে মিলে কাজ করার ব্যাপারে আমি অনেক বেশি উত্ফুল্ল। দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন সেবাগ্রহীদের মাঝে আমরা আমাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করব। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবণী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ক ডিজিটাল সেবা পেীঁছে দিতে সক্ষম হবো।’
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘১০০ ভাগ দেশীয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আমরা ডি.মানিকে বিশ্ব বাজারে সমাদৃত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশে নারীদের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে আমি সবসময় দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য ডি.মানি অর্থনৈতিক লেনদেনের চিরাচরিত চেহারাই পাল্টে দেবে।’
সূত্র:banglamail24.com
You must be logged in to post a comment.