এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী সড়ক উন্নয়নে অধ্যবদি পর্যন্ত কার্পেটিং না করায় চারেদিকে ধুলাবালি উড়ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকা প্রকাশ করেন চলাচলরত পথচারী ব্যবসায়ীসহ চালকরা।
দেখা যায়, মহাসড়ক পরবর্তী উপসড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সড়ক সংস্কার কাজ চলছে হরদম। কার্পেটিং না থাকায় সড়কে শুধুই ধুলো আর ধুলো। এ ধুলো থেকে কিছুতেই নিস্তার পাচ্ছেনা সর্বশ্রেনী পেশার মানুষ। ফলে চরম অস্বস্তিতে পথ চলতে হচ্ছে। ধুলোর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এতে মানুষের সর্দি, কাশিসহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ বৃদ্ধির শংকাও প্রকাশ করেন অনেকে। কার্পেটিং না থাকার কারণে এতে করে ধুলার বন্যা বইছে সড়কে। সর্বত্র ধুলোয় দূষিত। এ সড়ক জুড়ে উড়ছে ধুলোবালি।
সড়কে চলাচলরত অফিসগামী, চাকরিজীবী, গাড়ির চালক, সবাই অতিষ্ঠ ধুলোবালিতে। সড়কের দু’পাশের ঘরবাড়ি দোকানপাটে ধুলোর জোয়ার। যাত্রীবাহী বাস, অটোরিকশা, সিএনজি থেকে শুরু করে ভিআইপি যাত্রীদেরও ধুলোর বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। যানবাহনের গতির সাথে উড়ে আসা ধুলায় সয়লাব আশপাশের এলাকা। দোকানপাট, হোটেল সবকিছুতে ধুলোর আস্তর জমছে।
সড়কের চারিদিকে এখন ধুলো বালির রাজত্ব। উড়তে থাকা ধুলোবালিতে ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টিসীমা। ধুলোবালির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে এখানকার স্থানীয়সহ পথচারীদের।
টমটম চালক আবুল কাসেম আর অটোরিকসা চালক নাছির জানান, যানবাহনের গতির সাথে বাতাসে উড়ে আসা ধুলায় গাড়ী চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নেই পানি ছিটানোর কোন ব্যবস্থা।
স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক জসিম উদ্দিন জানান, ধুলো চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে। বায়ু দূষণের কারণে সব বয়সের মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে তিনি মাক্স ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
You must be logged in to post a comment.