আমন মওসুমের ২ মাস প্রায় শেষ। পর পর ২ দফা বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বীজতলা। কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবার আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আবাদ এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শুরু থেকেই শংকা ছিল খোদ কৃষকদের। ২ দফা বন্যা শেষ হলেও শেষ হয়নি কৃষকদের দুর্ভোগ। কাজে আসছে না কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমন মওসুমের সময়সীমা হলেও দুই তৃতীয়াংশ কৃষক রোপা আমন লাগাতে পারেনি। উপক‚লীয় এলাকা এবং নিম্নাঞ্চলের জমিতে বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমন চারার সংকট এবং যা আছে তাও আকাশচুম্বি দামের কারণে ক্রয় করতে পারছে না। ফলে কৃষকরা আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৭৮ হাজার ৮শ ১৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাইব্রিড উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে।
এদের মধ্যে হাইব্রীড ৫৮ হেক্টর, উফশী জাত ৭০,৭৮৩ হেক্টর। স্থানীয় জাতের ৭৯৭২ হেক্টর ধান রয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হল যথাক্রমে-
চকরিয়া: চকরিয়া উপজেলায় হাইব্রীড ৪০হেক্টর, উফশী ১৬৫০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩ হাজার হেক্টরসহ মোট ১৯,৫৪০ হেক্টর।
পেকুয়া: পেকুয়া উপজেলায় উফশী জাতের ৮ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৫৫০ হেক্টরসহ মোট ৮৫৫০ হেক্টর।
রামু: রামুতে উফশী জাতের ৯ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৭’শ হেক্টর সহ মোট ৯৭০০ হেক্টর।
সদর উপজেলা: সদরে স্থানীয় জাতের ৮৫০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৭’শ হেক্টর সহ মোট ৯২০০ হেক্টর।
উখিয়া: উখিয়া উপজেলায় উফশী জাতের ৮৫০০ হেক্টর স্থানীয় জাতের ৫’শ হেক্টরসহ মোট ৯ হাজার হেক্টর।
টেকনাফ: টেকনাফে হাইব্রীড ১৯হেক্টর, উফশী জাতের ৯৮০০ হেক্টর। স্থানীয় জাতের ১ হাজার সহ মোট ১০৮১৮ হেক্টর।
মহেশখালী: মহেশখালীতে উফশী জাতের ৭৫০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৬’শ হেক্টর সহ মোট ৮১০০হেক্টর।
কুতুবদিয়া: কুতুবদিয়ায় উফশী জাতের ২৯৮৩হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৯২২ হেক্টর সহ মোট ৩৯০৫হেক্টর।
জেলায় সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৭৮৩হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্রা ৫৮হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.