দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ করা হয় আর স্তুপ করা আর্বজনা পুড়ানো হয়। এতে একদিকে দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে বায়ু দূষণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও স্বাস্থ্যকর স্থান কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি দিন দিন দূষিত হয়ে উঠছে। পর্যটকদের প্রধান ভেন্যু লাবণী বীচ পয়েন্ট ও সুগন্ধা সী-ইন বীচ পয়েন্টের দুইটি স্থানে শ্বেত বালিয়াড়ির উপর প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনার স্তুপ করা হয়। আর স্তুপকৃত এসব ময়লা পোড়ানো হয় প্রকাশ্যে। ময়লা পোড়ানোর ধোয়ায় সৈকতের বাতাস দুষিত হয়ে উঠে।
সৈকতের কিটকট ব্যবসায়ী রুহুল কাদের মোর্শেদ জানান- ‘পর্যটকরা সৈকতে বেড়াতে আসে বিশুদ্ধ বাতাসে নি:শ্বাস নিতে। কিন্তু ময়লা পোড়ানোর দুষিত বায়ুতে পর্যটকদের নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে বেড়াতে আসা পার্থ চৌধুরী বলেন- ‘ধোয়ায় সৈকত আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ময়লা আর্বজনার স্তুপে ভরে গেছে। নাকে মুখে হাত দিয়ে সৈকতে বেড়াতে হয়েছে। এই রকম সৈকত প্রত্যাশা করেনি।’
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন- ‘সৈকতে ময়লা আবর্জনা স্তুপ আর পোড়ানো অত্যন্ত দু:খজনক। বিশ্ব খ্যাত সৈকত দুষণ করার কারণে পরিবেশে যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি পর্যটকরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সৈকতের বায়ু দূষণমুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
You must be logged in to post a comment.