রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উৎসব উদযাপন করবে না বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া ফানুস উৎসবের অর্থ কক্সবাজারে বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের মুখ্য সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এ বছর আপামর মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উত্তোলন থেকে বিরত থাকবে।
সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের আহ্বায়ক সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরু বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে আমরা বৌদ্ধধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফেলোশিপ অফ বুড্ডিস্টসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। বাংলাদেশের শান্তিকামী জনতার সাথে আমাদেরও দাবি, মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারে গিয়ে সে দেশের সরকার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। বাংলাদেশ সরকার ও মিয়ানমার দূতাবাসের অনুমতি পেলে আমরা এই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ মিয়ানমার দূতাবাসে এক স্মারকলিপি পেশ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। যাতে কঠিন চীবর দানসহ ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তিথি অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবর এবারের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.