এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ডাক ঘরের “ডাকবক্স”। এখন আর আগের মতো ডাক অফিসে লোকজনের আনাগোনা চোখে পড়ছেনা। ফেলে আসা দিনগুলোতে বার্তা প্রেরক ও মনের ভাব আদান-প্রদান ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হত। আশির দশক পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি এবং জরুরি বার্তার জন্য টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন। জেলা শহর ব্যতীত গ্রামীণ জনপদে টেলিফোনের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত ছিল।
পরিবার-প্রিয়জনের একটি চিঠির জন্য অপেক্ষমান হয়ে থাকতেন এলাকার প্রবাসীরা। এখন আর সেই দিন নেই। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে দিন বদলের ন্যায় পাল্টে গেছে সবকিছু। এখন নিমিশে খবরাখবর পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে। প্রতি সেকেন্ডে আলাপ চলছে অত্যাধুনিক মোবাইলে।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ডাকঘরসহ ইউনিয়ন ভিত্তিক ডাকঘরে অতীতে যেভাবে ডাক বক্সে চিঠিপত্র আদান প্রদান করা হতো এখন তা হারিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে।
স্থানীয় কজন শিক্ষার্থী জানান, বর্তমানে ই-মেইল, ইমো ও ফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানুষ আর আগের মত চিঠি লিখতে চায়না। ফলে আর একটি ঐতিহ্য আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। ধীরগতির কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে কুরিয়ার বা অন্য মাধ্যমে চিঠিপত্র পাঠাচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে হরেক রকমের মোবাইলসহ অত্যা ধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ফলে এলাকার গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল নারী-পুরুষদের চিঠিপত্র আদান প্রদান করতে ডাক বিভাগে আসতে দেখা যায়না।চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী ডাকঘর “ডাকবক্স” দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের ফলে ডিজিটাল যুগে অনায়াসে কাল গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.