সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / অপহৃত আয়ুব মাঝির সন্ধান মিলেনি : অপহরণের ৫দিনের মাথায় এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

অপহৃত আয়ুব মাঝির সন্ধান মিলেনি : অপহরণের ৫দিনের মাথায় এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

ফাইল ফটো

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

অপহরণের ৫দিনের মাথায় দুই রোহিঙ্গা মধ্য থেকে এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে উখিয়া থানার পুলিশ। রোববার স্থানীয় লোকজনের সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া থানার পুলিশ কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন বালুখালী তেলিপাড়া খাল থেকে ভাসমান হাত পা বাধা ও জবাই করা মোঃ সেলিম (২৬), নামের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রোববার বিকেলে কক্সবাজার হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য ১৩ জুন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১৮/২০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের জি-ব্লকের আলী আহমদের ছেলে মোঃ সেলিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি পূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। একই গ্রুপ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির ই-১ ব্লকের সর্দার আয়ুব মাঝিকে স্বশস্ত্র ঐ গ্রুপের সদস্যরা ঘর থেকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।

মিয়ানমারের আরাকানে কথিত জিহাদে যুদ্ধরত আল ইয়াকিনের সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলেই চলছে একের পর এক জুলুম, নির্যাতন ও অপহরণের মত ঘটনা। বুধবার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে অপহরণের ঘটনায় কথিত আল ইয়াকিনের সদস্যরা জড়িত রয়েছে বলে অপহৃতদের আত্মীয় স্বজন ও রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন। আল ইয়াকিন অবশ্য সম্প্রতি তাদের মিলিট্যান্ট গ্রুপের নাম পরিবর্তন করে আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি বা এআরএসএ নাম ধারণ করেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে।

কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক বুধবার জানিয়েছেন, গত রাত প্রায় দেড়টার দিকে প্রচুর বৃষ্টির সময় কুতুপালং বস্তির সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা মোঃ জাবের (৩২), মোঃ নুর (২৮), মনির আহামদ (২৮), খুইল্যা মিয়া মুন্না (৩২), সলিম (২৬), কলিমুল্লাহ (২৮) ও বালুখালীর নতুন রোহিঙ্গা বস্তির মোঃ কালু (৩৫) ও মো ইসলাম (৩৩) এর নেতৃত্বে ১৮/২০ জনের স্বশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আয়ুব মাঝির ঘরে হানা দিয়ে তাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃত আয়ুব মাঝির স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নুর আনকিছ জানিয়েছে, ১৮/২০ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে উল্লেখিতদের চিহ্নিত করা গেছে। অপহরণের পর থেকে রোহিঙ্গারা ও উখিয়া থানার পুলিশ বিভিন্ন ভাবে অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু অপহরণের শিকার দুই রোহিঙ্গার মধ্যে এক জনের লাশ উদ্ধার করা গেলেও অফরজন আয়ুব মাঝির এখনো কোন খদিস পাওয়া যায়নি।

মূলত বার্মায় কথিত জিহাদীদের নাম ভাঙ্গিয়ে রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে একাধিক গ্রুপ নিজেদের আল ইয়াকিনের সদস্য পরিচয়ে ঘরপিছু চাঁদাবাজি করে আসছে। আয়ুব মাঝি ও মোঃ সেলিমের কাছ থেকে ও অনুরুপ চাঁদা দাবী করে না পাওয়া ও তাদের আটক করতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে আবু ছিদ্দিক জানায়।

উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, স্থানীয় লোকজনের সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুর ১টার দিকে কুতুপালং সংলগ্ন বালুখালী তেলিপাড়া খালে হাত পা পিছমোড়া বাধা গলা জবাই করা অবস্থায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী মোঃ সেলিমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিন অনিবদ্ধিত শিবিরের অপহৃত আয়ুব মাঝিকে এখনো জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত লাশ কক্সাবাজর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ও থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে ওসি জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় শক্তিশালী কমিশন গঠন করার প্রস্তাব -এমএএফ’র সেমিনারে

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। নানা কারণে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/