সাতক্ষীরার বিরল রোগে আক্রান্ত দশ বছরের শিশু মুক্তা মনি অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। সাতক্ষীরায় নিজ বাসভবনে বুধবার সকাল আটটা বিশে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার এক মাস পরেই আবারো চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শিশুটির এমন দুর্দশা দেখে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছিলেন স্বজনরা। তখন মুক্তামনি জানিয়েছিলেন, ‘রক্ত ঝরছে। আগে যেমন পোকা হত, তেমনই হচ্ছে। গন্ধও হয়।’
তাই সব মিলিয়ে ভালো ছিলেন না সাতক্ষীরার কামার বায়সা গ্রামের বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি।কতটা ব্যথা আর যন্ত্রণা সহ্য করে বেঁচে ছিলো শিশুটি।
শিশুটির বাবা জানিয়েছিলেন, ৬ মাস ধরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর কিছুদিন মুক্তামনি ভালো থাকলেও তার অবস্থা আবারো খারাপের দিকে যায়। তার ডান হাতটি এখন আরো ফুলে গিয়েছিলো। অস্ত্রোপচারের স্থান থেকে রক্ত ঝরার পাশাপাশি বাসা বেঁধেছিল পোকা।। মেয়ের এমন দুর্দশা দেখে অসহায় ছিলেনবাবা-মা।
মুক্তামনির বাবা বলেন, ‘ডাক্তারেরা বলেছিলেন, আমরা একমাস পরে ডেকে নেব। শীতের সময় ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বলেছিল তখন বার্ন ইউনিটে রোগীর চাপ। গরমে ডাকবে। এরকম করে ৪ মাস চলে গেল।’
সারাদিন বিছানায় শুয়ে বসে থাকা শিশুটি আবারো সুস্থ হয়ে ছুটোছুটি করবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন স্বজন ও এলাকাবাসী। তাদের সেই আশা আর বাস্তববে সম্ভব হলো না। না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তামনি।
২০১৭ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তা মনির চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হবার পর পরীক্ষায় ধরা পড়ে মুক্তামনির হাতটি রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর কয়েক দফা চিকিৎসার পর তার হাতের অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড অপসারণ করা হয়।
সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.