বাংলা চলচ্চিত্রের ডাকসাইটে অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আদিল আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি নারায়ণগঞ্জে তার নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী নাসিমা আক্তার মুন, মেয়ে মুনিয়া ও ছেলে বাবুজ রাইয়ান সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
অনেক আগে চলচ্চিত্রে অভিনয় করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও গত এক বছর আগেও আদিল অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করছিলেন। কিন্তু জীবনের এই পর্যায়ে এসে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ায় গত এক বছর যাবত তিনি ঘরে বসেই সময় পার করতেন। আদিলের স্ত্রী মুন জানান, মূলত স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণে নিজেকে তিনি তার পেশাগত কাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।
তার ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিলো। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে ছিলো। শনিবার রাতে বলছিলো যে, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এই ছিলো তার শেষ কথা। আদিলের মেয়ে মুনিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি স্বামীর বাড়ি ঢাকাতেই থাকেন। ছেলে বাবুজ রাইয়ান ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করছেন।
নারায়ণগঞ্জের ছেলে আদিলের প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র হাসমত পরিচালিত ‘এখানে আকাশ নীল’। চলচ্চিত্রটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রাজমহল’, ‘বারুদ’, ‘বন্দুক’, ‘বুলবুল এ বাগদাদ’, ‘ঈমান’, ‘চন্দ্রলেখা’, ‘মোকাবেলা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘সওদাগর’, ‘নাগিনী কন্যা’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘শাহী দরবার’, ‘নসীব’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘নেপালী মেয়ে’, ‘পাতাল বিজয়’, ‘অশান্তি’ ইত্যাদি।
সর্বশেষ আদিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে বিএফডিসিতে এসেছিলেন। আদিলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি, প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, বাচসাস পরিবার, বাবিসাস পরিবারসহ আরো অন্যান্য সংগঠন।
আদিলের ছেলে বাবুজ রাইয়ান জানান, আজ বাদ যোহর নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া পুকুর পাড় বড় মসজিদে নামাজে জানাজার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ মাজদাইল পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
–গ্লোবটুডেবিডিডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.