সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্দোলনের একদিন পর ফের চালু হল মিয়ানমারে ট্রলার যাতায়ত

আন্দোলনের একদিন পর ফের চালু হল মিয়ানমারে ট্রলার যাতায়ত

Boot  Teknaf pic 1, 10, 15গিয়াস উদ্দীন ভূলু, টেকনাফ:

টেকনাফ স্থল বন্দরের ট্রলার শ্রমিকদের আন্দোলনের একদিন পর বর্ডার পাসের যাত্রী নিয়ে ফের চালু হল মিয়ানমারে ট্রলার যাতায়ত। ২ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০ টার পর থেকে একে একে ৫টি ট্রলারে বর্ডার পাসের ৩৯ জন যাত্রী মিয়ানমারে গমন করেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থল বন্দর অভিবাসন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সবুজ।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে ট্রলার মাঝিকে মারধরের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ মিয়ানমার সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। মিয়ানমার মংডু জেটি থেকে ওই বিজিপি সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে শুক্রবার যথানিয়মে বাংলাদেশ থেকে বর্ডার পাসে যাত্রীদের নিয়ে ট্রলার যাতায়ত শুরু হয়েছে।

এদিকে ট্রলার শ্রমিক সূত্রে জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে টেকনাফ স্থল বন্দর বোট মালিক সমবায় সমিতির আওতাধীন ৬ নং ট্রলারের মোঃ সেলিম মাঝি, ৭নং ট্রলারের সৈয়দ হোসন মাঝি, ৮ নং ট্রলারের মোঃ আলম মাঝি, ৯ নং ট্রলারের মোঃ আকবর মাঝি ও ১০ নং ট্রলারের তালেব মাঝি শুক্রবার সকালে বর্ডার পাসের ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মিয়ানমারে যান। তবে ট্রলার থেকে মংডু ঘাটে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও মাঝিদের ট্রলার থেকে উঠতে দেওয়া হয়নি। এমনকি দুপুরে খাবার না খেয়ে যাত্রী নিয়ে দেশে চলে আসেন।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ট্রলার মালিক-শ্রমিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার টেকনাফ স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন জেটি ঘাট থেকে সদর ইউনিয়নের বরইতলীর ইসমাইল মাঝি বর্ডার পাসের যাত্রী নিয়ে মংডু যায়। জেটিতে বিশ্রামের সময় মিয়ানমার বিজিপির এক সদস্য তাকে অর্তকিত মারধর করে। পরে ইসমাইল মাঝি যাত্রী নিয়ে এসে কেরুনতলী স্থল বন্দর বোট মালিক সমবায়-সমিতির কর্মকর্তাদের জানায়। এ বিষয়টি মালিক ও শ্রমিকরা টেকনাফ স্থল বন্দর অভিবাসন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে বর্ডার পাসের যাত্রী নিয়ে কোন ট্রলার মিয়ানমার ছেড়ে যায়নি। ফলে বর্ডার পাশের আওতায় মিয়ানমার গমন ইচছুক অনেক ব্যবসায়ী যেতে না পেরে হতাশা ও ভোগান্তি পৌহাতে হয়। শ্রমিকদের মিয়ানমারে বিজিপি সদস্যের অত্যাচার ও অনাহারে থাকতে হয়। বিভিন্ন সময়ে অনেক মাঝি মাল্লাকে মারধর চালায়। এতে মাঝি-মাল্লাদের আহত করা হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় মিয়ানমারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে ট্রলার শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে যাতায়ত বন্ধ রাখেন। তবে মিয়ানমার থেকে বর্ডার পাসে যাত্রী নিয়ে ট্রলার যাতায়ত স্বাভাবিক ছিল।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/